খড়দহ ‘গণধর্ষণ’কাণ্ড: স্বেচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক, মূল অভিযুক্তের বয়ানে নয়া মোড়


ধর্ষণ নয়, স্বেচ্ছায় হয়েছিল সহবাস। শুধু একবার নয়, এর আগেও হয়েছিল। খড়দহ ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারের পর উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূল অভিযুক্ত সমীর বিশ্বাসের বয়ানের গোটা ঘটনায় অন্য মোড় নিল। শুক্রবার রাতেই মূল অভিযুক্ত এলাকার বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেরায় সমীর বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাতে নিজেই ওই মহিলাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যে তাঁকে নিয়ে যেতেন। মহিলার সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন তাঁরা।

এরপর মহিলার বয়ান ফের খতিয়ে দেখছে পুলিস। মহিলা কি তবে অন্য কোনও উদ্দেশে মিথ্যা কথা বলছেন? তাও ভাবাচ্ছে পুলিসকে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার সন্ধ্যায় খড়দহের পাতুলিয়ায় ছেলেকে টিউশন পড়তে দিয়ে এক গৃহবধূ গণধর্ষিতা হয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই মহিলাকে সেদিন রাতে অচৈতন্য অবস্থায় একটি নির্মীয়মান বাড়ির ভিতর পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঘোলা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তিন জন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ও ভাবাতে শুরু করে পুলিসকে। যেমন  এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকায় চারদিকে বাড়ি রয়েছে। কেন গৃহবধূর চিত্কার বা আর্তনাদ কারোর কানে গেল না?  এক মহিলার ওপর যখন তিন যুবক হামলা, তাঁকে নির্মীয়মাণ বহুতলে টেনে নিয়ে যাওয়া-এই সবকিছুই কেন কারোর কানে গেল না? এছাড়া নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী যে জায়গায় ধর্ষণ হওয়ার কথা বলছেন, সেখানে কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিস।

তদন্তের গতি অন্যদিকে মোড় নেয় মূল অভিযুক্ত সমীর বিশ্বাসকে গ্রেফতার হওয়ার পর। সমীর ওরফে বাবু পুলিসকে জেরায় যা জানিয়েছেন, তাও তলিয়ে ভাবছেন তদন্তকারীরা।