মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়া হবে ইজরায়েলকে, হুমকি ইরানের


ইজরায়েল ও ইরানের চাপানউতোরে পশ্চিম এশিয়ায় বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা। রবিবার সিরিয়ায় ইরানি বাহিনীর উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তারপরই পালটা হুমকি এসেছে ইরানের তরফে। ইজরায়েলকে 'দুনিয়ার মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়া হবে' বলে হুমকি দিয়েছেন ইরানি সেনার ব্রিগেডিয়ার আজিজ নাসিরজাদ।

রবিবার, দামাস্কাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইরানের গোয়েন্দা দপ্তর ও সেনা ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে ইজরায়েলি বোমারু বিমান। রুশ প্রতিরক্ষা বিভাগকে উদ্ধৃত করে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওই হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৪ জন সিরিয়ার নাগরিক। এযাবৎকালের মধ্যে এটাই সিরিয়ায় সবচেয়ে বড় ইজরায়েলি হামলা। রবিবার রাত থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে সিরিয়ার ৬৫টি জায়গায় হামলা চালায় ইজরায়েলের বায়ুসেনা। গাইডেড মিসাইলের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক অস্ত্রভাণ্ডার। বিশেষ করে দামাস্কাস বিমানবন্দরের পাশে থাকা ইরানি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করেছে জঙ্গি বিমান। এদিকে সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম সানা জানিয়েছে, রবিবার ইজরায়েলের ছোঁড়া ৩০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে সিরিয়ার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম। সিরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের অভিযোগ, আগ্রাসনে মেতেছে তেল আভিভ।

এই পরিস্থিতিতে ইরানি সেনার ব্রিগেডিয়ার নাসিরজাদ বলেছেন, ''আমাদের বায়ুসেনার নবীন অফিসাররা ইহুদিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। তারা ইজরায়েলকে পৃথিবী থেকে মুছে দিতে চায়।'' এদিকে ইজরায়েলের অভিযোগ, তাদের দখলে থাকা গোলান হাইটসে রকেট হামলা চালিয়েছে ইরান। তার জবাবেই সিরিয়ায় বিমান হামলা।  তাৎপর্যপূর্ণভাবে, অনেকদিন ধরেই সিরিয়ায় সক্রিয় রয়েছে ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহ ও হামাসের একাধিক হাইপ্রোফাইল নেতাকে গোপনে হত্যা করেছে গুপ্তচর সংস্থাটি। পাশাপাশি আসাদ বাহিনী এবং ইরানি সেনার বিরুদ্ধেও মোসাদের অভিযান চলছে। যদিও ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে – একথা কখনোই  মেনে নেয়নি তেল আভিভ। কিন্তু এবারে সরাসরি হামলার দায় স্বীকার করে ইজরায়েল স্পষ্ট করে দিল যে, প্রয়োজনে যুদ্ধে নামবে তাদের সেনাবাহিনী।