সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জের, ৫ বছরের শিশুকে খুন জেঠিমার


সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, রক্ষা পেল না শিশুও৷ শ্বাসরোধ করে বছর পাঁচেকের শিশুকে খুনের অভিযোগ উঠল তার জেঠিমা ও জেঠতুতো দাদার বিরুদ্ধে৷ নৃশংস এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের নরেন্দ্রপুরে৷

শুক্রবার বিকালে বাড়ির সামনে খেলা করছিল বছর পাঁচেকের সাহাদান আব্বাসি৷ সন্ধে হয়ে গেলেও খেলে বাড়ি ফেরেনি সে৷ পরিবারের লোকজনেরা শিশুর খোঁজ শুরু করে৷ ঘণ্টাতিনেক খোঁজাখুঁজির পরেও শিশুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ জগৎবল্লভপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়৷ শিশুর মা অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে খুঁজে না পাওয়ার নেপথ্যে শিশুর জেঠিমার যোগসাজশ রয়েছে৷ সেই অনুযায়ী সাহাদান নামে ওই শিশুটির জেঠিমা ও তার দুই জেঠতুতো দাদাকে জেরা শুরু করে পুলিশ৷ তাদের তিনজনের বয়ানে মেলে একাধিক অসঙ্গতি৷ গভীর রাতে ওই তিনজন স্বীকার করে শিশুকে খুন করেছে তারা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা জানায় বাড়ির কাছেই একটি পুকুরের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিশুর দেহ৷ সেই অনুযায়ী ওই এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ মেলে সাহাদানের বস্তাবন্দি নিথর দেহ৷ তার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷

দীর্ঘদিন ধরে সাহাদানের বাবা ও জেঠুর মধ্যে সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল৷ তার জেরে দুই পরিবারের ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত৷ তবে জেঠতুতো দাদাদের সঙ্গে মেলামেশা করত সাহাদান৷ সেই সুযোগেই খেলাধূলার পর ছোট্ট সাহাদানকে ডেকে পুকুরের পাড়ে আনা হয়৷ এরপর শ্বাসরোধ করে তার জেঠিমা ওই শিশুকে খুন করে৷ প্রমাণ লোপাটের জন্য বস্তাবন্দি করে পুকুরের পাড়ে ফেলে দেওয়া হয় সাহাদানের দেহ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে স্বীকার না করলেও, টানা পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে তিনজন৷ এরপরই একে একে অপরাধ কবুল করে নেয় তারা৷ বাবার সঙ্গে সম্পত্তিগত বিবাদের পরেও কেন শিশুটিকে টার্গেট করল অভিযুক্তরা তা জানার জন্য ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার চিন্তাভাবনা করছেন তদন্তকারীরা৷