‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা’, গলায় চিরকুট-সহ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য


ঢাকা: গণধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের লাশ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ঢাকার সাভারে। পুলিশ সূত্রে খবর, সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হয় রিপন নামে মূল অভিযুক্তর মৃতদেহ। তার গলায় ঝোলানো ছিল চিরকূট, যাতে লেখা – 'আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা'। কে বা কারা একাজ করেছে, তা বুঝতে তদন্তে নেমেছে সাভার থানার পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, বস্ত্র কারখানায় তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের বদলা নিতে কারখানার শ্রমিকদের একাংশ একাজের সঙ্গে জড়িত।

অন্য যে কোনও অপরাধের তুলনায় বাংলাদেশে এই ধর্ষণের ঘটনার গুরুত্ব অন্যরকম। বস্ত্র কারখানায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বাংলাদেশে আন্দোলন বহুকালের। মাঝেমধ্যেই শ্রমিক বিক্ষোভ স্বাভাবিক ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন বছরের শুরু থেকে ফের সেই দাবিতে কাজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিকরা। নিত্যই চলছে অশান্তি। এরই মাঝে ৫ জানুয়ারি, সন্ধেবেলা ছুটির পর এক পোশাক কারখানার ১৬ বছর বয়সী এক তরুণীকে কারখানার লাইন চিফ রিপন-সহ পাঁচজন তুলে নিয়ে যায় কারখানার পিছনে একটি মাঠে। গণধর্ষণ করা হয় তাকে। ৭ জানুয়ারি নরসিংহপুরের নারী ও শিশু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা শ্রমিক আন্দোলনের আঁচ আরও উসকে দিয়েছে। আন্দোলন দমনে শ্রমিকদের শিক্ষা দিতেই রিপনের নেতৃত্বে গণধর্ষণের ঘটনা বলে জানতে পারেন আন্দোলনকারীরা। রিপন নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসে মূল অভিযুক্ত হিসেবে। তরুণীর পরিবারের তরফে আবদুর রহিম, লাইন চিফ রিপন ও ক্যান্টিন মালিক শিপনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। একজনকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

সাভার মডেল থানার ওসি আবদুল আউয়াল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভিতরে খালি এক মাঠ থেকে রিপনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় ঝোলানো একটি চিরকুটে লেখা ছিল- 'আমি ধর্ষণ মামলার মূল হোতা'। পুলিশের অনুমান, ধর্ষণকাণ্ডের বদলা নিতে কারখানার শ্রমিকদের একাংশই রিপনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পুলিশের আরও আশঙ্কা, মূল অভিযুক্তের মৃত্যুতে ঘটনার অনেক প্রমাণই লোপাট হয়ে যেতে পারে।