পরিত্যক্ত শিশুকে স্তন্যদান করিয়ে নজির কনস্টেবলের

ওই মহিলা কনস্টেবল।

দু'মাসের পরিত্যক্ত শিশুকে দুগ্ধপান করিয়ে প্রশংসা কুড়লেন এক মহিলা কনস্টেবল। খুব দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার আনজানি কুমারের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন ওই মহিলার স্বামীও। তিনিও একজন পুলিশ কনস্টেবল।

সোমবার হায়দরাবাদের আফজলগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। প্রিয়ঙ্কা নামে ওই মহিলা কনস্টেবল বেগমপেট মহিলা পুলিশ স্টেশনে কর্মরত। আর তাঁর স্বামী কর্মরত রবিন্দর আফজলগঞ্জ পুলিশ থানায়।

পুলিশ সূত্রের খবর, হায়দরাবাদের ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালের বাইরে থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করেছিলেন স্থানীয় ইরফান নামে এক ব্যক্তি। ইরফানের কথামতো, এক মহিলা তাঁর কাছে ওই শিশুকে রেখে জল খেতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর আর ফিরে আসেননি। তারপর বাধ্য হয়ে ইরফান শিশুকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু কোনও ভাবেই তাকে কিছু খাওয়াতে পারেননি। ক্রমাগত কেঁদে চলেছিল সে। তাই ওই রাতেই আফজলগঞ্জ থানায় শিশুকে নিয়ে আসেন।

আফজলগঞ্জ থানায় তখন কর্মরত ছিলেন রবিন্দর। তিনিই বেগমপেট থানায় স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা আর দেরি করেননি। সঙ্গে সঙ্গেই একটি ক্যাব বুক করে আফজলগঞ্জ থানায় চলে আসেন। প্রিয়ঙ্কার নিজেরও ছোট সন্তান রয়েছে। তাই শিশুটিকে দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি। শিশুটিকে স্তন্যপান করার তিনি।

শিশুটি আপাতত পেতলাবুর্জে সরকারি প্রসূতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খোঁজ খবর নিয়ে আফজলগঞ্জ পুলিশ ওই শিশুর মাকেও খুঁজে বার করেছেন।