ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজার পর্যন্ত টাকা জমা পড়ায় ব্যাপক আলোড়ন


পূর্ব বর্ধমান: আচমকাই বর্ধমানের আউশগ্রামের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে হাজার হাজার টাকা ঢুকতে থাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হল। খবর ছড়িয়ে পড়তেই টাকা তুলে নেবার হিড়িক পড়েছে ওই ব্যাংকের শাখায়। তাই সোমবার সকাল থেকেই ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের লম্বা লাইন। কিন্তু কিভাবে এবং কোথা থেকে এই টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকল তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়৷

পরে জানা যায়, কৃষিবিমার টাকার জন্য প্রায় বছর তিনেক আগে যাঁরা আবেদন করেছিলেন সেই টাকা মঞ্জুর হয়েছে৷ এটি সেই কৃষকবিমার টাকা। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও ধন্দ কাটেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। ওই ব্যাংক সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে কয়েকজন গ্রাহক তাঁদের পাশবই আপ টু ডেট করাতে যান। তখনই তারা দেখেন তাদের আ্যকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে। কিন্তু কোথা থেকে এই টাকা এল তা অজানা ছিল অনেকের কাছে।

টাকা জমা পড়া দেখেই তারা সেই টাকা তুলতে শুরু করেন। যদিও পরে জানা যায় কৃষিবিমার ক্ষতিপূরণের জন্য যারা বছর তিনেক আগে আবেদন করে রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অনেকের টাকা সম্প্রতি গ্রাহকদের আ্যকাউন্টে জমা পড়েছে। ওই ব্যাংকের আউশগ্রাম শাখা ম্যানেজার অর্ক ধর জানান, এগ্রিকালচার ইনসিওরেন্স কোম্পানির ফান্ড থেকে টাকা বিভিন্ন আ্যকাউন্টে ঢুকেছে। এই টাকা কারা পাচ্ছেন তার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়নি।

অন্যদিকে, আউশগ্রাম ১ ব্লক কৃষি সহ অধিকর্তা দেবতনু মাইতি বলেন, এই টাকা ২০১৪ – ১৫ সালের কৃষকদের ফসল বিমার টাকা। সেসময় যেসব কৃষকের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ছিল তারা ফসলের ক্ষতির কারণে আবেদন করেছিলেন। তাদের সেই টাকাই আসতে শুরু করেছে। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় ব্যাংকের মাধ্যমেই কৃষকরা বিমার জন্য আবেদন করেছিলেন।

যদিও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মাধ্যেম কেউ আবেদন আগে করেননি। জানা গিয়েছে, আউশগ্রামের ওয়ারিশপুর, বননবগ্রাম ও গোপীনাথপুর প্রভৃতি গ্রাম মিলে শতাধিক গ্রাহকের আ্যকাউন্টে টাকা এসেছে। ন্যুনতম তিন হাজার থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক একজনের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।