অমিত শাহের সভা শেষ হতেই রণক্ষেত্র কাঁথি, মমতাকে ফোন করলেন উদ্বিগ্ন রাজনাথ

ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাসে।

বাধা দিলে বাধবে লড়াই! ইঙ্গিতটা বিজেপি সভাপতির বক্তব্যেই ছিল। তিনি ফিরতে না ফিরতে লড়াইটা বেধেও গেল। রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা বলেন, বিজেপির নেতারাই প্ররোচনা দিয়েছেন। সভাস্থলে সশস্ত্র বহিরাগত আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ সব তথ্যও জানতে হবে।

মঙ্গলবার অমিত শাহের সভা শেষ হতে না হতেই কাঁথির বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ও তৃণমূলে সংঘাত বাধে। তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি বাস ভাঙচুর, বাইক পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। হামলা হয় প্রতিবন্ধীদের বাসেও। তৃণমূলের বিরুদ্ধেও ভাঙচুরের পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। সন্ধ্যা থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে কাঁথি বাইপাস ও সংলগ্ন এলাকা। রাত পর্যন্ত যত্রতত্র ভাঙচুর করা বাস, পোড়া বাইক পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। নামানো হয় র‌্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী জানান, আজ, বুধবার কাঁথিতে প্রতিবাদ মিছিল হবে। ৩ ফেব্রুয়ারি শাহের সভার মাঠেই পাল্টা সভা করবে তৃণমূল।

এ দিন অমিতের হুঁশিয়ারিই ছিল, ''ওরা যত বাধা দেবে, বিজেপি কর্মীরা তত উজ্জীবিত হবেন।'' গোলমালের জন্য তাই বিজেপিকেই দুষছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ''ওরা খড়গপুর থেকে সশস্ত্র গুন্ডা এনেছিল। কেউ পার্টি অফিস পোড়ালে আমাদের লোকজন কি রসগোল্লা ছুড়বে?'' তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ''তৃণমূল কার্যালয় কে ভেঙেছে জানি না।''
দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে হামলার নিন্দা করা হয়। রাজনাথ মমতাকে ফোন করায় পরিস্থিতির গুরুত্ব আরও বাড়ে। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আক্রমণকারীরা শিশু-বৃদ্ধ-মহিলা-প্রতিবন্ধী কাউকে রেহাই দেয়নি। আভাস থাকা সত্ত্বেও কেন আরও কড়া নজরদারি চালানো হল না, কী করে সশস্ত্র লোকজন সভায় জড়ো হল— খতিয়ে দেখবে প্রশাসন। দিল্লিও রিপোর্ট চেয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ''যা বলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। যদি রিপোর্ট দিতে হয়, লিখিত ভাবে আবার দেওয়া হবে।''