কুলগামে ‌খতম আইইডি বিশেষজ্ঞ জঙ্গি সহ দুই


সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ হল ওয়ান্টেড জঙ্গি সহ দুজন। তাদের মধ্যে জিনাত–উল–ইসলাম ওরফে জিনাত ওরফে উসমান আল–বদর জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান এবং আইইডি তৈরিতে সিদ্ধহস্ত। অপর জঙ্গি শাকিল আহমেদ দারও অনেক উপত্যকায় নাশকতামূলক কাজে জড়িত। জম্মু–কাশ্মীরের কুলগাম জেলার কাঠপোরায় শনিবার রাতে দুই বড় জঙ্গির আত্মগোপন করে থাকার খবর, গোপন সূত্রে পেয়ে তল্লাশি শুরু করে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিসের বাহিনী। তল্লাশির সময় বাহিনীকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলি চালালে পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। রাতভর চলা সংঘর্ষ শেষে নিকেশ হয় জিনাত এবং শাকিল।

রাজ্য পুলিস পরে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, খতম দুই জঙ্গিকেই দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল সেনা এবং পুলিস। তাদের বিরুদ্ধে উপত্যকায় নৃশংস জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ আছে। সোপিয়ানের বাসিন্দা গুলাম হাসান শাহ্‌–এর ছেলে জিনাত ২০০৬ সালেই আল–বদরে যোগ দিয়েছিল। একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিল সে।

পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ফের ২০১৬ সালে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর সংস্পর্শে আসে এবং তারপর ফের সোপিয়ানে আল–বদরে যোগ দেয়। পরে ওই গোষ্ঠীর প্রধান হয়ে উঠেছিল আইইডি বিস্ফোরক বানানোয় বিশেষজ্ঞ জিনাত। তার নামে বহু নাশকতার অভিযোগ আছে। কয়েক মাস আগে সোপিয়ান টুকরোতে পুলিসের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়াতেও অভিযুক্ত জিনাত। একইভাবে সোপিয়ানেরই চিল্লিপোরার বাসিন্দা আবদুর রশিদ দারের ছেলে শাকিল আহমেদ দারের বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতা চালানোর অভিযোগ আছে।
রাজ্য পুলিস বিবৃতি আরও বলেছে, নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের পাশ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, গোলাগুলি এবং যুদ্ধে ব্যবহৃত জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী বা স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে কোনও প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাহিনী অনুরোধ করেছিল তাদের সহায়তা করতে। সেভাবেই সংঘর্ষস্থল থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাসিন্দাদের। সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পরও দীর্ঘক্ষণ চলে চিরুনি তল্লাশি। জঙ্গিদের মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হয় তাদের পরিবারের হাতে।