পাকিস্তানে কেউ মারা যায়নি, ভারতেও যাতে কেউ না মরে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য:‌ ইমরান খান


বক্তব্য শেষ করে বসে পড়েছিলেন ইমরান খান। তারপর হঠাৎ উঠলেন, বললেন '‌স্পিকার মহাশয়, একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি। আমাদের কাছে এক ভারতীয় বায়ুসেনা কমান্ডার বন্দি আছেন। আমরা ঠিক করেছি, আগামী কাল আমরা তাকে ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেবো।'‌ সঙ্গে সঙ্গে হাততালিতে ফেটে পড়ে পাকিস্তানের সংসদ। প্রায় সকলেই বিনাবাক্যে অভিনন্দনকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। 

এদিন অধিবেশনের শুরুতেই মন্তব্য পেশ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগাগোড়া তাঁর ভাষণে ছিল বিনয়ের সুর। কারণ, তিনি বারবার বলছিলেন, তিনি শান্তি চান। ইমরান বললেন '‌পাকিস্তান শান্তির দেশ। তাঁরা কখনই যুদ্ধের পথে যেতে চায় না। বরং চায়, সমস্ত দেশের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্ক ফিরে আসুক। ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ রাখতে চায় না পাকিস্তান। তাই সব সময়েই শান্তি বজায় রাখতে চায়। কিন্তু ভারত যদি পাকিস্তানের কোনও ক্ষতি করে, তাহলে পাকিস্তানও ভারতকে উত্তর দিতে বাধ্য হবে। তখন আমাদের কোনও কথা বলা যাবে না। ভারত যদি বিমানবাহিনী  না পাঠাতো, আমাদের তরফেও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কোনও সেনা পাঠানো হত না। কিন্তু পাকিস্তান বাধ্য হয়েই সেদিন বায়ুসেনা পাঠিয়েছিল, কারণ এটা প্রমাণ করা দরকার ছিল আমরাও শক্তিশালী। তবে, আমরা এটাও মাথায় রেখেছিলাম, ভারতের আক্রমণের পর আমাদের দেশের কোনও ক্ষতি হয়নি। তাই আমরা এমন কোনও হামলা করব না, যাতে ভারতে কোনও মৃত্যু না হয়। তাই আমরা কোথাও, কাউকে মারিনি। আগাগোড়া শান্তির প্রতি আমাদের আস্থা প্রদর্শন করেছি। আগেও তাই করব। আর সেই জন্যই শান্তির বার্তা দিতে আগামী কাল আমরা অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে পাঠিয়ে দেবো।