ব্যক্তিগত কর নিয়ে এই তথ্যগুলি জেনে রাখুন, লাভ হবে আপনারই


২০১৯ সালের প্রথম অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অরুণ জেটলি অসুস্থ হয়ে বিদেশে চিকিতসা করাতে যাওয়ায় গোয়েল তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন। এবারের বাজেটকে জনমোহিনী বলা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশিদিন সময় নেই। তার আগে দেশের কৃষিজীবী অংশ ও মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখেই সরকার আয়করে নানা ছাড় দিয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ব্যক্তিগত করে কোথায় কী সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।


স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন
এবছর স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৪০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। ফলে চাকুরিজীবীরা সর্বোচ্চ ৩৫৮৮ টাকা বাঁচাতে পারবেন।
   

আয়কর ছাড়ের সীমা
আয়কর ছাড়ের সীমা আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর ফলে কয়েক কোটি কর দাতাকে এর মধ্যে আয় হলে কোনও আয়কর দিতে হবে না। এর পাশাপাশি বীমা সহ নানা খাতে দেড় লক্ষ টাকা অতিরিক্ত কর ছাড় হওয়ায় সবমিলিয়ে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করলে কোনও কর দিতে হবে না।

   

বাড়ি কেনা
যদি কেউ দুটি বাড়ি কেনেন, তাহলে পরের বাড়ির জন্য মাসিক আয় থেকে আলাদা কর দিতে হবে না। যদি না তা ভাড়া দেওয়া থাকে।
   

ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের সুদ
ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে প্রাপ্ত সুদ ১০ হাজার টাকার বেশি হলে টিডিএস কাটা হতো। সেই সীমা বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মধ্যবিত্তদের বড় সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


বাড়িভাড়ার টিডিএস
বাড়িভাড়ার টিডিএস এর পরিমাণ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে। ছোট বাড়িওয়ালাদের ক্ষেত্রে তাই মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় হলে তবেই টিডিএস দিতে হবে।
   

নতুন প্রক্রিয়া
আয়কর জমা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা হিসাব করে বাকীটা করদাতাদের রিফান্ড করার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আরও বেশি করে করদাতাদের সুযোগ করে দিতে চাইছে আয়কর দফতর।