প্রধানমন্ত্রীর কথায় ‘যন্ত্রণা ভুলে গেলাম’

জখম বিজেপি কর্মী গৌতম সিংহ।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাটআউট সরানোর প্রতিবাদ করতে গিয়ে 'মার' খেতে হয়েছে। কিন্তু তার পরে খোদ প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথা শনিবারের জনসভায় উল্লেখ করায়, যন্ত্রণা 'ভ্যানিশ' গৌতম সিংহের।

দুর্গাপুরের বেনাচিতির এই বিজেপি যুবকর্মী পরিবহণ ব্যবসায়ী। মোদী এ দিন যখন নেহরু স্টেডিয়ামের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠেন, তখন ডান কপালে ও নাকে প্লাস্টার লাগানো বছর তিরিশের গৌতম ছিলেন মঞ্চের সামনেই। আচমকা তাঁর দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''সামনে এক জনকে দেখছি, তাঁর মুখে ব্যান্ডেজ। নাকে চোট। কিন্তু 'হিম্মত' এটাই, তার পরেও তিনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বিজেপি নেতা, কর্মীর এই তপস্যা বিফল হবে না।'' সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন: ''কাল রাতে যা হয়েছে, তা আমি জানি।''

গৌতমবাবুর দাবি, শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর মহিলা কলেজ লাগোয়া এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি এবং বিজেপির কিছু নেতা-কর্মী। দেখেন, প্রধানমন্ত্রীর কাটআউট সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাটআউট টাঙাচ্ছেন ২৫-৩০ জন। গৌতমবাবুর অভিযোগ, ''ওঁদের বলি, মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট পাশে কোথাও টাঙান। প্রধানমন্ত্রীর কাটআউট সরাবেন না। আচমকা এক জন 'প্লাস'(প্লায়ার্স) দিয়ে কপাল ও নাকে বাড়ি মারে। বাঁচাতে গিয়ে আমাদের দলের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল ও আরও এক জন আক্রান্ত হন।''

স্থানীয় সূত্রের খবর, ঝামেলা বাড়ার আগেই বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রধানমন্ত্রীর মুখে নিজের উল্লেখ শুনে ঘোর কাটছিল না গৌতমের। সভার শেষেও বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী আমার কথা বললেন, সব যন্ত্রণা ভুললাম।''

বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, দুর্গাপুরের বহু জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে কালি ছিটিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে জামুড়িয়ার কুনস্তোরিয়া মোড়ে বিজেপির ব্যানার ছেঁড়া, বীরভূম থেকে আসা বিজেপি কর্মীদের সভায় যেতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন দলীয় নেতৃত্ব। মারধরের ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত হচ্ছে। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ''সব অভিযোগ মিথ্যে। কোথাও কারও ছবি বিকৃতি, বাধা দেওয়া, মারধরের ঘটনা ঘটেনি।''