বায়ুসেনার টার্গেট ছিল পাকিস্তানে জইশ ও লস্করের সদর দফতর! চাঞ্চল্যকর তথ্য রিপোর্টে


পুলওয়ামা জঙ্গিহানার জবাব দিতে ভোররাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জইশ-ই-মহম্মদের তিনটি জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে বায়ুসেনা। কিন্তু ভারতী বায়ুসেনার প্রকৃত উদ্দেশ্যে কী ছিল এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে। একদিন পর চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে।

শুধু জইশের তিনটি জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়াই নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মূল লক্ষ্য ছিল জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর। একেবারে শেষ মুহূর্তে ভারত এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসে। এই পিছু হটার পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে বলে জানায় বায়ু সেনা। বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতরে হানা না দিলেও জইশের সবথেকে বড় ট্রেনিং ক্যাম্প উড়িয়ে কড়া বার্তা দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।

মাসুদ আজহারের সদর দফতরের পাশাপাশি বায়ুসেনা টার্গেট করেছিল লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতরও। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের পাশাপাশি লস্করের প্রধান হাফিস সইদও ছিল বায়ু সেনার নিশানায়। শেষপর্যন্ত বালাকোট, চাকোটি ও মুজফ্ফরবাদে জইশের তিনটি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়ে মোক্ষম ধাক্কা দেয় মাসুদকে।

এই অভিযানে মাসুদ শেষ না হলেও, মাসদের প্রায় পুরো পরিবার নিকেশ হয়ে যায়। মাসুদের দাদা ইব্রাহিম আজহার, ভাই তালহা সইদ, শ্যালক ইউসুফ আজহার-সহ জইশের আরও দুই শীর্ষ নেতা খতম হয়ে যাওয়ায় জইশের কোমর ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি বায়ু সেনার। তবু এদিন আওয়াজ তোলা হয়েছে মাসুদের নাম ও নিশান মিটিয়ে দেওয়ার। আমেরিকা যেমন লাদেনকে নিকেশ করেছে, ভারতও মাসুদকে নিকেশ করতে পারে বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা হয়। এই ঘটনায় ৪৪ সেনা জওয়ান শহিদ হন। জইয-ই-মহম্মদ এই ঘটনার দায় স্বীকার করার পরই ভারত ফুঁসছিল যোগ্য জবাব দিতে। মঙ্গলবার ভোররাতে পাকিস্তানের ভু-খণ্ডে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।

এই ঘটনার একদিন পর সামনে আসে, ভারত আসলে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছিল পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ঢুকে বাহাওয়ালপুর জইশের আর মুরিদে লস্করের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া। কিন্তু পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের কথা ভেবেই ভারত এই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটে। ওই এলাকায় জনসংখ্যা বিপুল। বায়ুসেনা অভিযান চালালে সাধারণ নাগরিকের প্রণসংশয় থাকবে। সেই কারণেই শেষ সময়ে মত বদল করা হয়।