যে পাঁচটি কারণে ভারতের এই এয়ারস্ট্রাইক তাৎপযপূর্ণ


নয়াদিল্লি: বদলার জবাব বদলা৷ পাকিস্তান যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই জবাব দিল ভারত৷ ঘরে ঢুকে পাক মদতপুষ্ট জইশের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দিয়ে এল ভারতীয় বায়ুসেনা৷ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এটাই এযাবৎকালের সবথেকে বড় অপারেশন ভারতের৷ বলা ভালো জইশের নাকের ডগায় আঘাত হেনেছে ভারতীয় সেনা৷ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনের৷ কেন এই প্রত্যাঘাত জইশের কাছে বড় ধাক্কা তার পাঁচটি কারণ আলোচনা করা হল৷

জইশ পীঠস্থানে প্রত্যাঘাত: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখা প্রদেশের বালাকোট জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে বড় জঙ্গি শিবির৷ সূত্রের খবর, এখানেই জঙ্গি আদিলের প্রশিক্ষণ হয়৷ ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা করে সে৷

ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পর সেই ঘাঁটি একেবারে ধুলোয় মিশে গিয়েছে৷ এই প্রত্যাঘাত জইশের কাছে বড় ধাক্কা৷ বালাকোটকে জইশ সংগঠনের পীঠস্থান বলা হয়৷ কারণ এই শিবিরটি তৈরি করেন মাসুজ আজহার৷ কান্দাহার বিমান হাইজ্যাকের পর আজহারকে মুক্তি দেয় ভারত সরকার৷ তারপর বালাকোটে গিয়ে এই শিবির তৈরি করে জইশ জঙ্গি৷ ২০০১ সাল থেকে বালাকোট থেকে অপারেশন শুরু করে মাসুদ৷

শতাধিক জঙ্গি খতম: ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে শতাধিক জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি খতম হয়েছে৷ যার মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি ও শীর্ষ জইশ কমান্ডাররা৷ সংখ্যাটা জানা না গেলেও সূত্রের খবর ৩০০র মতো জঙ্গি খতম হয়েছে ভারতের প্রত্যাঘাতে৷

পুলওয়ামা হামলার পুনরাবৃত্তি রুখল: বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার গোপন রিপোর্ট বলছে পুলওয়ামার মতোই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আরও বড় আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জইশ-ই-মহম্মদ৷ সেই জন্য ফিঁদায়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল৷ পুলওয়ামা ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে এই ধরনের আঘাত হানা জরুরি ছিল৷

সবথেকে বড় আঘাত: পাকিস্তানের মাটিতে সবথেকে বড় আঘাত ভারতের৷ ১২টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের ৮০ কিমি ভেতরে ঢুকে পড়ে৷ বালাকোট থেকে ৬৪ কিমি দুরেই আবোতাবাদ৷ যেখানে লুকিয়ে ছিল ওসামা বিন লাদেন৷ এই আবোতাবাদে ঢুকে ওসামাকে খতম করে আসে আমেরিকা৷

মাসুদকে কড়া জবাব: স্বপ্নেও মাসুদ আজহার ও পাকিস্তান ভাবতে পারেনি তাদের ঘরে ঢুকে আঘাত হানবে ভারত৷ সূত্রের খবর, বালাকোট শিবিরটি পরিচালনা করত ইউসুফ আজহার সম্পর্কে যিনি মাসুজের শালা৷ ভারতের প্রত্যাঘাতে তিনি মারা গিয়েছে বলে বিভিন্নি মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে৷