মেট্রো চ্যানেলে ধরনা মঞ্চে রাত জাগলেন মমতা, সাতসকালে দলে দলে হাজির তৃণমূল সমর্থকরাও


রবিবার মেট্রো চ্যানেলে ধরনা মঞ্চ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অনেক রাত পর্যন্ত খোলা আকাশের নীচেই বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাত দেড়টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে ওঠেন তৃণমূল নেত্রী। রাতভর তিনি ঘুমাননি। রাতে একের পর এক সর্বভারতীয় নেতারা মমতাকে ফোন করেন। তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যেসব নেতারা এসেছিলেন তারা প্রায় সবাই মমতার সঙ্গে কথা বলেন।

উল্লেখ্য, কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধে থেকেই মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে রবিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজ্য সরকার ও সিবিআইয়ের মধ্যে তুমুল টানাপোড়েন চলে। কলকাতা পুলিস সিবিআই আধিকারিকদের সেক্সপিয়র সরণী থানায় নিয়ে যায়। ঘন্টা তিনেক তাদের সেখানে রেখে ছাড়া হয়। পাশাপাশি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ও নিজাম প্যালেসে চলে যায় পুলিস। পরে ওই দুই জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সিবিআই।

এদিকে, রবিবার রাত থেকেই ধর্মতলার ধরনা মঞ্চে আসতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। রাতেই পোস্টার হাতে মঞ্চের কাছে দাঁড়িয়ে পড়েন অনেকে। সাত সকালেই বহু তৃণমূল সমর্থক ধর্মতলায় আসতে শুরু করেছেন। সোমবারই ব্লক স্তরে সিবিআই অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাবেন দলের কর্মীরা।

টালিগঞ্জ, রাসবিহারী, পার্কসার্কাস এমনকি মুর্শিদাবাদ থেকেও তৃণমূল সমর্থকরা ধর্মতলার ধরনায় সাতসকালেই এসে পৌঁছে গিয়েছেন। এদের অধিকাংশেরই বক্তব্য দিদির পাশে থাকতেই ধর্মতলায় আসা। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে লেখা পোস্টার হাতে আসা এক তৃণমূল সমর্থক জানালেন, বহুদিন পরে রাজ্যে দিদি একটা পরিবর্তন এনেছেন। তিনি ডাকলে কয়েক ঘণ্টায় লাখ খানেক মানুষ হাজির হয়ে যেতে পারেন।

সোমাবার তৃণমূলের দলীয় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি সরকারি কর্মসূচি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের কৃষকসভা। ধর্মতলার ধরনা মঞ্চ থেকেই ওই সভায় বার্তা দেবেন মমতা। পাশাপাশি, সোমবার রয়েছে রাজ্য বাজেট। তার আগে মন্ত্রিসভার যে বৈঠক হয় তাও ধর্মতলায় ধরনা মঞ্চের কাছেই করবেন তিনি। পুলিসের মেডল সেরিমনিও হবে এখান থেকেই। এক কথায় সরকার এখন ধর্মতলায়।

অন্যদিকে, আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে মামলা উঠবে। রাজ্য সরকারের হয়ে লড়াই করবেন অভিষেক মনু সিংভি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে দুটি বিষয় তুলে ধরা হবে বলে জানা যাচ্ছে তা হল, ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের একটি স্থগিতাদেশ ছিল। তার পরেও কীভাবে সিবিআই পুলিস কমিশনারের বাড়িতে যায়। অন্যদিকে, পুলিস কমিশনারকে জেরা করার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে একটা মতামত নেওয়ার ব্যাপার থেকেই যায়। তাহলে তা না করে কীভাবে পুলিস কমিশনারের বাড়িতে যায় পুলিস।