পুলওয়ামা হানার একশো ঘণ্টাতেই নিকেশ জইশের সব জঙ্গি: সেনা


পুলওয়ামায় হামলার ১০০ ঘণ্টার মধ্যে উপত্যকায় জইশের সব নেতা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। জানিয়েছে সেনা।


পুলওয়ামা হানার ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই উপত্যকায় জইশের সব নেতা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে বলে দাবি করল সেনা। পুলওয়ামায় সিআরপি-র উপরে হামলা ও গত কাল জইশ জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে আজ প্রথম বাহিনীর তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। তাতে সেনার ১৫ নম্বর কোরের কম্যান্ডার কে জে এস ধিলোঁ ছাড়াও হাজির ছিলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি এস পি পানি ও সিআরপি-র আইজি জুলফিকার হাসান। ধিলোঁ জানান, পুলওয়ামায় হামলার ১০০ ঘণ্টার মধ্যে উপত্যকায় জইশের সব নেতা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। 

গত কাল সংঘর্ষে নিহত জইশ নেতার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। প্রথমে বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়, পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী রশিদ গাজ়ি নিহত হয়েছে। পরে আবার কয়েকটি সূত্র দাবি করে, নিহত হয়েছে গাজ়ির সহযোগী কামরান। রাতে আবার একটি সূত্র দাবি করে, কাশ্মীরে নিহত তৃতীয় জঙ্গি রশিদ গাজ়ি হলেও হতে পারে।

আজ অবশ্য নিহত জইশ নেতাকে কামরান বলেই উল্লেখ করেছেন ধিলোঁ। তিনি বলেন, ''জইশ ই মহম্মদ পাকিস্তানি সেনার সৃষ্টি। কামরান ও তার সঙ্গীদের পাক সেনা ও আইএসআই নিয়ন্ত্রণ করছিল। তাই পুলওয়ামা হানাতেও যে পাক সেনা জড়িত তা নিয়ে সন্দেহ নেই।'' 

পুলওয়ামা কাণ্ডের মূল চক্রী রশিদ গাজ়ি আফগানিস্তানে লড়াই করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। সেখানেই সে গাড়িবোমা তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছিল বলেও দাবি করেন গোয়েন্দারা। আজ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ধিলোঁ বলেন, ''এমন অনেক গাজ়ি এসেছে। যে গাজ়িই আসুক আমরা তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে তৈরি। তবে অনেক বছর পরে কাশ্মীরে গাড়িবোমা হামলা হয়েছে। সেই বিপদের মোকাবিলার কৌশল স্থির করা হচ্ছে।'' 
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি এস পি পানি দাবি করেন, গত তিন মাসে কাশ্মীরি যুবকদের মধ্যে জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা কমেছে।