দেশে প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী ছুটলেন সিপি-কে বাঁচাতে: মুকুল


কেন রাজীব কুমার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে ধর্নায় বসলেন? ডিজি কিংবা এডিজি আইন – শৃঙ্খলার মত উচ্চপদস্থ অফিসাররাও বা কেন বসে আছেন মমতার পাশে? রবিবার রাতে এই প্রশ্ন তুলে দিলেন মমতার এক সময়ের সহযোগী মুকুল রায়।

এদিন সন্ধ্যেয় কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার পর থেকেই শহরে কার্যত নাটকের চেহারা নেয়। সিপি রাজীব কুমারের বাড়ি ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায়।
 
তিনি ট্যুইটারে প্রশ্ন করেন, মমতা কেন ছুটে গেলেন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে? মুকুলের দাবি, এই ধরনের কার্যকলাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে গণতন্ত্রকে আক্রমণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, মমতাই দেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি পুলিশ কমিশনারকে বাঁচাতে ছুটলেন।

উল্লেখ্য একসময়ের মমতা ঘনিষ্ট এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ার অভিজাগ ছিল। একসময় সিবিআই জেরার মুখোমুখিও হতে হয়েছিল তাঁকে। তারপর রাজ্য রাজনীতির জল গড়িয়েছে অনেক দূর।

এই প্রসঙ্গে বিজেপির আর এক রাজ্য শীর্ষনেতা রাহুল সিনহা বলেন, "আমরা অনেকদিন আগে থেকেই বলে আসছি রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার।"

এদিন সন্ধ্যেয় বেশ কয়েকজন সিবিআই অফিসার হানা দেন রাজীব কুমারের বাড়িতে। তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপরই সেখানে ছুটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে আপাতত মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন রাজীব কুমার।

বিজেপি নেত্রী লকেট লিখেছেন, 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক৷ এত ভীত দেখাচ্ছে কেন? সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্তরা জেলে যাবে কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে…'৷ এর ঠিক আগেই আরও একটি ট্যুইট করে তিনি বলেন, '… পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক সঙ্কট চলছে৷ একমাত্র ভগবানই বাঁচাতে পারে৷'