বিধায়ক-মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ছিল না পুলিস! গাফিলতির অভিযোগে অপসারিত ওসি

(ওসি অনিন্দ্য বোস)

ভরসন্ধ্যায় সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে খুন বিধায়ক। কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস খুনের ঘটনায় সরানো হল হাঁসথালি থানার ওসি অনিন্দ্য বোসকে। বিধায়কের নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগেই সরানো হল ওসিকে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ওসিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর প্রশাসন সূত্রে। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রত্যক্ষদর্শী সবারই অভিযোগ, নিরাপত্তা ব্য়বস্থায় গলদ ছিল। অনুষ্ঠানস্থলে ছিল না পর্যাপ্ত পুলিস। এলাকাবাসী জানাচ্ছে, মাজদিয়া-ফুলবাড়ির ওই সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাস সহ উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রত্না ঘোষ (কর)ও। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, একজন মন্ত্রী বা বিধায়ক কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে, যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা, তার বিন্দুমাত্র ছিল না কাল।

মন্ত্রী-বিধায়কের অনুষ্ঠানে কোনও পুলিস-ই ছিল না বলে দাবি তাঁদের। কেন পুলিস ছিল না? সে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যদিকে, সাসপেন্ড করা হয়েছে বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাসের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডলকেও। অভিযোগ, বিধায়কের নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা না করেই শনিবার ছুটিতে চলে যান তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে খুন হন বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে বিধায়ককে খুন করে দুষ্কৃতীরা। গুলি করেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীদল। প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, আগ্নেয়াস্ত্র ফেলেই পালায় তারা।

জনপ্রিয় বিধায়ক হিসাবে এলাকায় নাম-ডাক ছিল সত্যজিতের। দক্ষ সংগঠক হিসাবেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন। ফলে এমন ভরা সভায় একজন জনপ্রিয় বিধায়কের এভাবে খুন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা এলাকা।