পূত্রবধূর আত্মহত্যার একমাসের মধ্যে আত্মহত্যা শ্বশুরের


বউমার আত্মহত্যার একমাসের মধ্যে শ্বশুরের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার অন্তর্গত শ্যামনগর রাউতা এলাকায়। আত্মঘাতী ব্যক্তির নাম রাজকুমার মন্ডল (৬২)। বাড়িতে কেউ না থাকার সু্যোগ নিয়ে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

মৃতের পরিবারের সদস্যরা রাজ কুমার বাবুর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী এবং স্থানীয় জগদ্দল থানার পুলিশকে খবর দেন। জগদ্দল থানার পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে বারাকপুর মর্গে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। উল্লেখ্য, রাজকুমার বাবুর বউমারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল ঠিক একমাস আগেই৷

মাত্র একমাস আগেই তাঁর পুত্রবধূ তাপসী মণ্ডলেরও ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল৷ সেই ঘটনায় মৃত তাপসীর বাপের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয় তাপসীর স্বামী বাপি মন্ডল। তাপসীর মৃত্যুর পর তার বাপের বাড়ির আত্মীয়দের অভিযোগ ছিল নব বিবাহিত তাপসী তার শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের জেরেই মারা গিয়েছে৷ সেই অভিযোগের তীর ছিল মন্ডল পরিবারের সকলের দিকেই।

এরপরেই মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ছিল রাজকুমার মন্ডল। রাজকুমার বাবুর পরিবারের অন্য আত্মীয়দের অভিযোগ, নববধূ তাপসী আত্মঘাতী হয়েছিল তার প্রাক্তন প্রেমিকের জন্যই। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে সে আত্মহত্যা করায় অভিযোগ এসে পড়ে মন্ডল পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। তাপসী বিয়ের পরও তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলত, সেই মানসিক চাপেই সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়৷ অথচ বিনা অপরাধে জেল খাটছে রাজকুমার বাবুর ছেলে। মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন রাজকুমার বাবুও। যার জন্য এত কিছু হয়ে গেল সেই প্রেমিক এখনো অধরা। পুলিশ যথাযথ তদন্ত করলে মৃত ওই গৃহবধূর প্রাক্তন প্রেমিকের সন্ধান নিশ্চয়ই পাবে।

গত ২রা ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল বাপি মণ্ডলের সঙ্গে তাপসীর। বিয়ের পরদিন থেকেই তাপসীর মোবাইলের ব্যস্ততা নিয়ে স্বামী বাপী ও তার পরিবারের সন্দেহ শুরু হয়। এরজেরেই তাপসীর নতুন সংসারে শুরু হয় অশান্তি। আর তার জেরেই আত্মঘাতী হয় তাপসী। তাপসীর আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয় তাপসীর স্বামী বাপি।

এরপর থেকেই মানসিক চাপে পড়ে যান বৃদ্ধ রাজকুমার বাবু ও তার স্ত্রী। আর সেই মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাজকুমার বাবু। যদি ও জগদ্দল থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও কেউ এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি ।