শিশুচোর সন্দেহে ভবঘুরে মহিলাকে গণপিটুনি, রণক্ষেত্র টিকিয়াপাড়া


প্রশাসনের তরফে উদ্যোগের খামতি নেই। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রীতিমতো মাইকিং করছে পুলিশ। কিন্তু গুজব সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে কই! শিশুচোর সন্দেহে ভবঘুরে মহিলাকে গণপিটুনির ঘটনায় এবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার টিকিয়াপাড়া। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর চলল পুলিশের গাড়িতেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় নামানো হয় ব়্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আটক বেশ কয়েকজন। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার গভীর রাতে। ঘটনাস্থল হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোড। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এক ভবঘুরে মহিলাকে ধরে আনেন এলাকারই কয়েকজন যুবক। ওই মহিলা নাকি শিশুচোর! স্রেফ সন্দেহের বশেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী, ওই মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে আরও বেশ কয়েকজন মার খেয়েছেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে যখন টিকিয়াপাড়ায় পৌঁছয় হাওড়া থানার পুলিশ, তখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের গাড়িতে চলে ভাঙচুর। একসময়ে মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানায় হাওড়া সিটি পুলিশ। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। শেষ পর্যন্ত টিকিয়াপাড়ায় ব়্যাফ  ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছে পুলিশ। এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।

এদিকে স্রেফ গুজবে কান দিয়ে যেভাবে হাওড়ায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, তাতে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বাড়ি থেকে বেরোতেই ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার হাওড়ার বেলুড়ে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির শিকার হন এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে পুলিশ।