লক্ষ্য কৃষকদের মনজয়, এবার সিঙ্গুরে পদযাত্রা বিজেপির


লোকসভা ভোটের আগে কৃষকদের মন পেতে তৎপর বিজেপি। জনসংযোগে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম লক্ষ্য এখন, দেশের কৃষক সম্প্রদায়। দেশের কিছু অংশের কৃষক সমস্যা বিজেপির উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কৃষকের মন পেতে কেন্দ্রীয় বাজেটে কৃষক কল্যাণ প্রকল্পের ঘোষণা করে লোকসভা ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার ভোটের আগে কৃষকদের ঘরে ঘরে সেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচারকে নিয়ে যেতে চান মোদি,অমিত শাহরা। লক্ষ্য, কৃষকদের সমর্থনকে দলের ভোটবাক্সে প্রতিফলিত করা। তাই কৃষকদের জনসমর্থন আদায়ে দলের কৃষক সংগঠন কিষাণ মোর্চাকে পথে নামাচ্ছে বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্য থেকে কিষান মোর্চার পাঁচ হাজার বাছাই করা নেতানেত্রীকে নিয়ে গোরক্ষপুরে সম্মেলন হবে আগামী ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি। যেখানে থাকবেন নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে দলের কৃষক সংগঠনের এই সম্মেলন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জেনে নিন দেশের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস'এর টিকিট মূল্য
পশ্চিমবঙ্গেও কৃষকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে আরামবাগ থেকে সিঙ্গুর পর্যন্ত পদযাত্রা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য কিষান মোর্চা। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রামকৃষ্ণ পাল জানিয়েছেন, আলুর দাম-সহ বিভিন্ন দাবিতে পদযাত্রা হবে। ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দু'দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। পদযাত্রা আরামবাগ থেকে শুরু হয়ে জাঙ্গিপাড়া হয়ে সিঙ্গুরে শেষ হবে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে একের পর এক রাজ্যে ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। হিন্দিবলয়ের তিন রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটে মধ্যবিত্ত, কৃষক ও শ্রমিক, এই তিন শ্রেণির জন্যই কল্পতরু হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো ও অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য পেনশনের বিষয়টি বাজেটে ঘোষণা করে কৃষক-শ্রমিকদের মন জয় করতে চেয়েছে বিজেপি।

গত দু'দশকে যে সব ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ভারতকে
বাজেট পেশের পর পশ্চিমবঙ্গে দলীয় সভায় এসেও বাজেটে কৃষক ও শ্রমিকদের জন্য ঘোষণার বিষয়গুলিই নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেছেন নরেন্দ্র মোদি। কাজেই লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষক-শ্রমিকদের জন্য নয়া প্রকল্পগুলিকে যে প্রচারের হাতিয়ার করবেই বিজেপি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কৃষকদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে গ্রামে গ্রামে প্রচারে নিয়ে যাওয়ার ভার দলের কিষান মোর্চার নেতাদের মাধ্যমেই করতে চান দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর সেই প্রচারের কৌশল কী হবে, কীভাবে কৃষকদের সঙ্গে ভোটের আগে একমাস নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, কীভাবেই বা গেরুয়া শিবিরের পক্ষে কৃষক ভোট সুনিশ্চিত করা যাবে, তা নিয়েই গোরক্ষপুরের সম্মেলন থেকে দিকনির্দেশ করবেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। ওই সম্মেলনে সব রাজ্যের কিষান মোর্চার সভাপতি-সহ রাজ্য পদাধিকারীরা থাকবেন। বাংলা থেকে সম্মেলনে হাজির থাকবেন ১৬০ জন প্রতিনিধি।