চারদিন নিখোঁজ থাকার পর কাঁথির তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার হুগলিতে


ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, কোলাঘাট যাচ্ছেন। রাতে আবার স্ত্রীকে ফোনে জানান, এক পরিচিতের সঙ্গে দেখা করতে মালদহে যাচ্ছেন। তারপর থেকেই চারদিন  ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অবশেষে হুগলির দাদপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির এক তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করে খুন করেছে বিজেপি।

মৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম রীতেশ রায়। কাঁথি ৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত দুরমুঠ অঞ্চল সভাপতি ছিলেন তিনি। কাঁথিতে রীতেশের বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ২৯ জানুয়ারি জনসভা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের দাবি, সেদিন সভা যাওয়ার ও ফেরার পথে এলাকায় শাসকদলের দুটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালান বিজেপি কর্মীরা। পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূল নেতা রীতেশ রায় ও তাঁর অনুগামীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান রীতেশ। পরিবারের লোকেদের দাবি, সেদিন এক বন্ধু ফোন পেয়েই বাড়িতে বেরিয়েছিলেন তিনি। আর ফেরেননি। মোবাইলও সুইচড অফ ছিল। রীতেশ রায়ের নামে কাঁথির মারিশদা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পরিবারের লোকেরা। এদিকে শনিবার ভোরে হুগলির দাদপুর থানার অদূরেই এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিয়মমাফিক খবর পাঠানো হয় কাঁথির মারিশদা থানায়। ছবি দেখে বাবার দেহ শনাক্ত করেন তৃণমূল নেতা রীতেশ রায়ের ছেলে। শেষ খবর অনুযায়ী, দেহ নিতে হুগলির ইমামবাড়া হাসপাতালে যাচ্ছেন নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকেরা।

কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন শাসকদলের নেতা রীতেশ রায়? তাঁর মৃতদেহ হুগলির দাদপুরেই বা এল কী করে? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মৃতদেহের গলার কালসিটের দাগ ছিল। সম্ভবত শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহটি হুগলির দাদপুরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে আততায়ীরা। দলের নেতা রীতেশ রায়কে অপহরণ করে বিজেপি খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা নেতৃত্ব। তাদের দাবি, কাঁথিতে অমিত শাহের সভার পর থেকে তাঁকে টার্গেট করেছিল বিজেপি।