ক্যানিংয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে, গুলি করে খুন


কুলতলির পর ক্যানিং। এবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা।

রবিবার রাতে দাড়িয়া পঞ্চায়েত প্রধান স্বপ্না নস্করের স্বামী কার্তিক নস্কর ট্যাংরাখালি থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। দাড়িয়ার ঝাড়ি মোড়ের কাছে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তার বাইক থামিয়ে তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে একের পর এক কোপ মারে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে গুলি করা হয়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় কার্তিক নস্করকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, কার্তিক নস্করের বাইকে ছিলেন আরও একজন। ঘটনার পর থেকে তার কোনও খোঁজ নেই।

রাতেই ঘটনাস্থলে যান ক্যানিং থানার আইসি মানস চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহনী। চলে আসেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, এলাকায় ভিত গড়ার জন্য কার্তিক মণ্ডলকে খুন করেছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়ুক।

ক্যানিং ব্লক সভাপতি অর্ণব রায় বলেন, বিজেপির যেসব দুষ্কৃতী রয়েছে তারা শুধু ক্যানিং নয় গোটা রাজ্যেই এভাবে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। তৃণমূল কর্মীদের ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। প্রশাসনের কাছে দাবি করছি, এই ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের সাজার ব্যবস্থা করা হোক।

উল্লেখ্য, এদিনই কুলতলিতে ভর সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন সুরত আলি মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলির জ্বালাবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তার হাট এলাকায়।

ঘটনাস্থলের কাছেই তার বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সন্ধ্যায় হাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সুরত। সেইসময় মোটর বাইকে চেপে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী এসে তাঁকে ঘিরে ধরে খুব কাছ থেকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সুরত যুব তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন কুলতলি ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি গণেশ মন্ডল।