শহরে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১ লক্ষ টাকা


ফের শহরে বিভিন্ন পদ্ধতিতে একের পর এক এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ। ব্যবসায়ীর কাছে ক্রেডিট কার্ড হাতিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও এক লাখ টাকা। প্রশ্ন উঠেছে, স্কিমারের সাহায্যে কি তুলে নেওয়া হয়েছে ওই টাকা? না কি এই জালিয়াতির পিছনে রয়েছে অন্য কোনও পদ্ধতি।

কলকাতার বেশ কয়েকটি থানায় সম্প্রতি একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বালিগঞ্জের আর্ল স্ট্রিটের এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, একটি বেসরকারি ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্ট আছে। কিছুদিন আগেই তাঁকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এক লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি এই মেসেজ পাওয়ার পরই ব্যাংকে ছুটে যান। ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁর ক্রেডিট কার্ড দিয়েই তোলা হয়েছে ওই টাকা। অথচ ব্যবসায়ীর দাবি, ওই কার্ড তাঁর কাছেই ছিল। ওই কার্ডের নম্বর তিনি কাউকে দিয়েছেন বলেও মনে পড়ছে না। এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য। পুলিশের ধারণা, তাঁর ক্রেডিট কার্ড কেউ ক্লোন করেছে। ক্রেডিট কার্ডের তথ্য কার্ড রিডারের মাধ্যমে পড়ে নকল কার্ডে সেই তথ্য বসিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। এই বিষয়ে তথ্য পেতে ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তিনি কোনও দোকান বা রেস্তরাঁর কর্মীকে কার্ডটি অল্প সময়ের জন্য দিয়েছিলেন কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করেছে। কারণ কয়েক মিনিটের জন্য ক্রেডিট কার্ড হাতে পেলেও এই ধরনের জালিয়াতি করা সম্ভব। আবার ওই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে তিনি এটিএম থেকে টাকা তুলেছিলেন কি না, সেটাও জানার চেষ্টা হচ্ছে।

এদিকে, অনলাইন বিপণিতে পুরস্কারের নাম করে মেসেজের উত্তর দিয়ে প্রায় লাখ টাকা খোয়ালেন এক ব্যক্তি। তিনি পূর্ব যাদবপুর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সম্প্রতি একটি অনলাইন বিপণির নাম করে দু'টি নম্বর থেকে তাঁর কাছে মেসেজ আসে। তাঁকে বলা হয়, অনলাইন বিপণির লটারি জিতেছেন তিনি। তাঁকে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। পুরস্কারের জন্য 'প্রসেসিং ফি' হিসাবে তাঁকে ৯৭ হাজার ১০০ টাকা দিতে হবে। তিনি সেই টোপে পা দিয়ে ওই টাকা দেন। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা তুলে নেওয়া হলেও কোনও পুরস্কার তিনি পাননি। কিছুদিন আগে পাকিস্তান থেকে ফোন করে মেসেজ পাঠিয়ে লটারি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। পূর্ব যাদবপুরে এই জালিয়াতির পিছনে নাইজেরীয়রা রয়েছে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, নাদিয়ালের বাসিন্দা এক মহিলার সাহায্যকারী সেজে এটিএম কার্ড পালটানোর অভিযোগ উঠল। সেই কার্ড পালটে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এই জালিয়াতির পিছনে গয়ার কেপমাররা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।