যাত্রীর খাবারে আরশোলা, ২ দিন পর টনক নড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার


আকাশপথে ভ্রমণ অনেকেরই প্রিয়। জেট ল্যাগ, রানওয়েতে ওঠানামার সময় বিকট শব্দ – এসব উপেক্ষা করেই বিমানে যাতায়াত পছন্দ করেন অনেকে, সময় বাঁচানোর জন্য। কিন্তু মাঝেমধ্যে সেই আরাম এবং দ্রুত পরিবহণই হয়ে ওঠে দুর্বিসহ। যেমনটা হল রোহিত রাজ সিং চৌহানের।

গত শনিবার ভোপালের রোহিত মুম্বাই যাচ্ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে। যাত্রাপথে খাবারের প্লেটে ছিল দক্ষিণী পদ – ইডলি,সম্বার,বড়া। ছিল ফলও। বড়ার ফয়েলটি খুলতেই দেখেন, একটি মৃত আরশোলা। ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রোহিত রাজ। ব্যস! এয়ার ইন্ডিয়ার একাধিক ভুলত্রুটির তালিকায় ঢুকে পড়ল এটিও। যাত্রী পরিষেবায় চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই হুঁশ ফেরে কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি টুইটারে তাঁরা আবার দাবি করেন, 'আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এধরনের ঘটনায় আমরা খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিই। যারা আমাদের খাবার দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন, সেই সংস্থাকে কড়াভাষায় নোটিস পাঠানো হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে এয়ার ইন্ডিয়া জিরো-টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিষেবা নিয়ে আমরা সদা সতর্ক। আমাদের অন্যান্য আধিকারিকরা ওই যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলে সবটা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

শনিবারের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের টনক নড়তে লেগে গেল পাক্কা দুটি দিন। তাঁরাই আবার দাবি করলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এই টুইট নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে কটাক্ষ। এই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে আগেও বহুবার যাত্রী পরিষেবা, নিরাপত্তা নিয়ে গাফিলতি-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। কখনও বিমানের আসনে পেঁচা, কখনও যাত্রীর ব্যাগে চিতাশাবক উদ্ধার হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই দেরিতে ঘুম ভেঙেছে কর্তৃপক্ষের। এবার যাত্রীদের ন্যূনতম পরিষেবার ক্ষেত্রেও চূড়ান্ত অসতর্কতার নিদর্শন দিল এয়ার ইন্ডিয়া। এবং তারপর দাবি তুলছেন, পরিষেবা নিয়ে তাঁরা সদা সতর্ক। বিমানযাত্রীদের একাংশের প্রশ্ন, 'সতর্কতা'র যদি এই নমুনা হয়, তাহলে এয়ার ইন্ডিয়া 'অসতর্কতা'র কোন ছবি দেখতে হবে? কেউ কেউ বলছেন,ইদানিং নিজেদের কাজ নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার উদাসীনতার মাত্রা বাড়ছে। আর তাতেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে একদা নামী বিমান সংস্থাটি।