কলকাতার ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিহারের দুই ডন


কলকাতা থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় বিহারের দুই ডনকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বিহারের নওদায় বসে ব্যবসায়ী মনোজ খান্ডেলওয়ালকে অপহরণের পরিকল্পনা করে রাজ পাণ্ডে ও বিষ্ণু প্রসাদ। আর এই ছকে মদত জুগিয়েছিল গিরিশ পার্কের ধীরজ চৌধুরি। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিহারে এক ডজনেরও বেশি মামলায় অভিযুক্ত রাজ ও বিষ্ণু। কিন্তু তাদের টিকি ছুঁতে পারেনি পড়শি রাজ্যের পুলিশ।ভিন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে দু'জনকেই ধরে ফেললেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতেরা  অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, ডাকাতি ও তোলা চেয়ে ভয় দেখাত। বিহারের সীমানা ছাড়িয়ে এবার এ শহরের ব্যবসায়ী মনোজ খান্ডেলওয়ালকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতে চেয়েছিল তারা।

গত ১৩ ফ্রেরুয়ারি রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে গিরীশ পার্ক এলাকা থেকে অপহরণ করা হয় ব্যবসায়ী মনোজ খান্ডেলওয়ালকে। তাঁকে অস্ত্র দেখিয়ে, মারধর করে অন্য একটি গাড়িতে তুলে কলকাতা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল পাঁচ দুষ্কৃতী। ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্যের সমস্ত থানাকে সতর্ক করে দেয় কলকাতা পুলিশ। পরের দিন অর্থাৎ ১৪ ফ্রেরুয়ারি ভোরে আসানসোলে সালানপুর থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধরা পড়ে যায় ৫ অপহরণকারীও। জেরার মুখে পুলিশকে ধৃতরা জানিয়েছিল, তারা ভাড়াটে অপহরণকারী। বিহারের দুই জনের নির্দেশেই মনোজ খান্ডেলওয়ালকে অপহরণ করেছে তারা। কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা যখন অভিযুক্তদের সন্ধান করছিলেন, তখন লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গিরিশ পার্কের বাসিন্দা  ধীরজ চৌধুরির সঙ্গে একটি সূত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বিহারের ডনদের।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধীরজের কাছেই পড়শি রাজ্যের ডন রাজ পাণ্ডে ও বিষ্ণু প্রসাদ জানতে চেয়েছিল, এ শহরের কোন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করলে মোটা টাকা মুক্তিপণ আদায় করা যাবে। পানমশলার ব্যবসায়ী মনোজ খান্ডেলওয়ালের কথা তাদের জানিয়েছিল ধীরজই।পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পর ওই ব্যবসায়ীর গতিবিধি উপর নজর রাখতে শুরু করে সে। ইতিমধ্যে কলকাতায় রেইকিও করে যায় রাজ ও বিষ্ণু।  সম্প্রতি গোপন সূত্রে বিহারে রাজ পাণ্ডে ও বিষ্ণু প্রসাদের আস্তানার সন্ধান  পান লালবাজারের গোয়েন্দারা। এ শহরে অন্য কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে ধৃতেরা জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।