ভারতীর স্বামীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গ্রেফতার


ভারতী ঘোষের স্বামীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল সিআইডি।

প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের স্বামীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। গত শুক্রবার এই মামলাতেই প্রদীপ রথ নামে আলিপুরদুয়ারের এক পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। সূত্রের খবর, প্রদীপকে জেরা করে ব্যবসায়ী দিলীপকুমার দাসের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। 

বুধবার রাতেই কলকাতা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন ধৃতকে আলিপুরদুয়ারে নিয়ে এসে আদালতে তোলা হয়।

সূত্রের খবর, ভারতী পুলিশ সুপার হিসাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্বে থাকার সময় দাসপুর থানার ওসি ছিলেন প্রদীপ রথ। ভারতীকে নিয়ে মামলায় নাম জড়ায় তাঁরও। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।  পরবর্তীতে জেল থেকে বেরিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ সেলের ওসি পদে যোগ দেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, ওই সুযোগের অপব্যবহার করেছেন তিনি।

আলিপুরদুয়ার থানায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদীপবাবুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। যে মামলার দায়িত্ব যায় সিআইডির হাতে। অভিযোগ দায়েরের দিন, অর্থাৎ গত শুক্রবারই প্রদীপকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। গত শনিবার তাঁকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিআইডি। সূত্রের খবর, তারপরই তাকে জেরা করে পাটুলির বাসিন্দা তথা রিয়াল এস্টেটের ব্যবসায়ী দিলীপকুমার রথের নাম জানতে পারেন তাঁরা। বুধবার রাতে কলকাতা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

দিলীপবাবুর আইনজীবী সোমশঙ্কর দত্তর কথায়, "সিআইডি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রদীপবাবুর তথ্য পাচারের ক্ষেত্রে দিলীপবাবু সাহায্য করতেন। প্রদীপবাবু না কি নানা গোপন তথ্য দিলীপবাবুর কাছেই আগে পাঠাতেন। তারপর তিনি তা অন্যত্র পাঠিয়ে দিতেন। কিন্তু দিলীপবাবুর কম্পিউটার জগতের সঙ্গে সম্পর্কই নেই। তা হলে তিনি সাহায্য করলেন কী করে? আসলে ভারতীদেবীর স্বামীর ঘনিষ্ঠ বলেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তবে আমাদের আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি ভরসা রয়েছে।"

বুধবার গ্রেফতারের পরে পদাতিক এক্সপ্রেসে করে তাঁকে আলিপুরদুয়ারে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ট্রেন দেরিতে চলায় এ দিন আলিপুরদুয়ারে পৌছতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। তারপরই তাঁকে আদালতে তোলা হয়। আদালত সূত্রের খবর, ধৃত এই ব্যবসায়ীকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।