পছন্দের চ্যানেল বন্ধ, দর্শকরা ক্ষুব্ধ


কেব্‌ল টিভি দর্শকদের ভোগান্তির শেষ নেই। টিভি থেকে দুমদাম চ্যানেল উঠে যাওয়াটা অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে। পছন্দের চ্যানেলের তালিকা জমা দেওয়াই সার। সেই তালিকার অনেক চ্যানেলই পাচ্ছেন না তাঁরা। এ নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ তাঁরা। কলকাতা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একই অবস্থা। কেব্‌ল অপারেটর, এমএসও–দের বিরুদ্ধে অভিযোগের পর অভিযোগ উঠছে। তারা একে অপরের ঘাড়ে দোষ দিয়ে দায় সেরেছে। তবে সমস্যা থেকে মুক্তি কবে মিলবে জানা নেই দর্শকদের। এক এমএসও–র বিরুদ্ধে জোর করে প্যাকেজ চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা কোনও মতেই গ্রাহকদের পছন্দ করা চ্যানেল দিতে চাইছে না বলে অভিযোগ। কয়েকটি এমএসও দাবি করেছে, তারা ট্রাইয়ের নির্দেশ মেনে কাজ করছে। ট্রাই মেনেও নিচ্ছে দর্শকদের সমস্যা হচ্ছে।

কেব্‌ল ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য অপারেটর, এমএসও দু'‌পক্ষই দায়ী। দর্শকদের নতুন ব্যবস্থায় আনার জন্য অনেক সময় পাওয়া গিয়েছিল। তাঁদের আরও ভাল করে বোঝানোর দরকার ছিল। তাড়াতাড়ি পছন্দের চ্যানেলের তালিকা না জমা দিলে তাঁদের টিভি থেকে অনেক চ্যানেল বাদ চলে যাবে— গ্রাহকদের এই বিষয়টা ভাল করে বোঝানোর দরকার ছিল। কিন্তু বোঝা যাচ্ছে সে–কাজে গাফিলতি রয়েছে। ফলে ভুগতে হচ্ছে দর্শকদের। বোঝা যাচ্ছে প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। সে–কথা পরোক্ষে অনেক এমএসও মেনেও নিয়েছে। আগে থেকে গ্রাহকদের বুঝিয়ে তালিকা নিয়ে রাখলে কাজ করতে অনেক সুবিধে হত। নতুন ব্যবস্থা চালুর সময়সীমা দু'‌বার বেড়েছে। তার পরও পরিস্থিতি বদলায়নি। তার মানে আরও কয়েকদিন গ্রাহকদের এই সমস্যা পোহাতে হবে। কেব্‌ল টিভি ব্যবসায়ীদের হিসেব, এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি দর্শক নতুন ব্যবস্থায় চলে এসেছেন।

কেব্‌ল অপারেটর, এমএসওর একাংশ দাবি করছে, তাঁরা নিয়মিত প্রচার করেছেন। কিন্তু দর্শকেরা সময়ে তালিকা জমা দেননি। তবে দেখা যাচ্ছে যাঁরা পছন্দের চ্যানেলের তালিকা জমা দিয়েছেন তাঁরাও একই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। জমা দেওয়া তালিকার অনেকগুলিই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। যে চ্যানেল চাননি সেগুলোও চলে আসছে টিভিতে। এটা কী করে সম্ভব?‌ আবার অনেক জায়গায় জোর করে প্যাকেজ নিতে বলা হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান কে করবে?‌ ‌গ্রাহকদের পছন্দমতো চ্যানেল দেখার জন্য ট্রাই এই ব্যবস্থা করেছে বলে বলা হচ্ছে। পছন্দের আর দাম রইল কই?‌ টাকা দিয়েও চ্যানেল পাওয়া যাচ্ছে না। 
অপারেটর, এমএসও–দের সাফাই, নতুন ব্যবস্থায় দর্শকদের নাম নথিভুক্ত করতে অনেক সময় লাগছে। তাই তালিকা জমা পড়লেও সংশ্লিষ্ট দর্শকের কাছে তাঁর পছন্দের চ্যানেল দিতে অনেক সময় লাগছে।