আমার কাছে কোনও লাল ডায়েরি, পেন ড্রাইভ ছিল না: সুদীপ্ত সেন

সুদীপ্ত সেন।

চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে যখন চড়ছে রাজনীতির পারদ, ঠিক তখনই উঠে এল সেই বহু আলোচিত 'লাল ডায়েরি'-র কথা। সেই ডায়েরি কোথায়, এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে বিভিন্ন মহলে। এরই মধ্যে আজ বারাসত আদালতে তোলার সময় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে প্রশ্ন করা হয় সেই লাল ডায়েরি নিয়ে। জবাবে সুদীপ্ত জানালেন, তাঁর কাছে কোনও লাল ডায়েরি ছিল না।

সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরি থেকে চিটফান্ড দুর্নীতি নিয়ে নানা তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে বিভিন্ন সময় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। একটি মামলায় আজ বারাসত আদালতে তোলা হয় সুদীপ্ত সেনকে। আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, কোথায় রয়েছে ওই লাল ডায়েরি, পেনড্রাইভ এবং ল্যাপটপ। প্রথমে কিছু বলতে চাননি সুদীপ্ত সেন। তার পর বলেন, আমি কিছু জানি না। এর পরেই অবশ্য বলেন, ''আমার কাছে কোনও লাল ডায়েরি ছিল না। পেনড্রাইভ, ল্যাপটপও ছিল না।''

গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় তাঁর মুখোমুখি হয়েছেন সাংবাদিকেরা। কিন্তু যতই প্রশ্ন করা হোক, বরাবরই তা এড়িয়ে যান সুদীপ্ত সেন। এর আগেও তিনি অস্বীকার করেছিলেন, তাঁর কাছে কোনও ডায়েরি নেই। সব সময়ই এই সমস্ত বিষয় অস্বীকার করে গিয়েছেন তিনি।

সিবিআইকে তদন্তে সহযোগিতার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর জেরে তদন্তে কোনও সুবিধা হবে কি না, আজ বারাসত আদালতে তোলার সময় সুদীপ্ত সেনের কাছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ''আমার কিছু বলার নেই। একজন অভিযুক্তের কথার কোনও দাম নেই।''

এই লাল ডায়েরি নিয়েই বিভিন্ন সময় উঠেছিল প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ।  সিবিআই সূত্রের বক্তব্য, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ খাড়া করতে তাদের সঙ্গে আছে বিধাননগর পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের বয়ান। যাঁরা বলেছিলেন, সমস্ত নথি তাঁরা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর প্রধানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। রয়েছে দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বয়ানও। যাকে হাতিয়ার করে বিজেপি দাবি করেছে, একটি লাল ডায়েরি ও পেন ড্রাইভ তিনি পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু দেবযানী নিজেই অন্যতম অভিযুক্ত বলে সেই যুক্তি কতখানি টিকবে, তা নিয়ে প্রশ্নও আছে।