ফুঁসছে গ্রাহক, পিঠ বাঁচাতে ট্রাইয়ের অফিসে বিক্ষোভ কেবল অপারেটরদের


একেই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি তারউপর হঠাৎ করে পছন্দের চ্যানেল উধাও-গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই সমস্যায় জেরবার কেবিল টিভির গ্রাহকরা৷ অনেকসময়ই তাদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ছে কেবল অপারেটারদের উপর৷ এই সঙ্কট থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আন্দোলনে নামলেন তারা৷

বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতায় ট্রাই-এর অফিস সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-এর উপরে কয়েকশো কেবল অপারেটররাও বিক্ষোভ দেখান। গত ১২ ফেব্রুয়ারিও এই বিশ্ব বাংলা কেবল টিভি অপারেটরসের ব্যানারে বিক্ষোভ দেখানো হয়।কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে কোনও আশার আলো দেখতে না পেয়ে এদিন ফের বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় কেবল অপারেটররা।

সংগঠনের সেক্রেটারি প্রদীপ্ত কর্মকার বলেন, ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় রয়েছে৷ তার আগে কেন চ্যানেল বন্ধ হল? আমাদের দাবি সুষ্ঠু পরিকাঠামো গড়ে তবে নয়া নিয়ম চালু হোক৷ সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় সম্মানহানি, প্রাণহানির আশঙ্কাবোধ করছি৷

কেবল টিভি অপারেটরদের দাবি, এমএসও-রা গ্রাহকদের পছন্দ অনুযায়ী চ্যানেল দেখানোর জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করছে, সেই সাবস্ক্রাইবার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ঠিক মতো কাজ না করাতেই বিপত্তি বেঁধেছে। ফলে একজন গ্রাহক যে যে চ্যানেল দেখতে চান বলে তালিকা জমা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী তার সেট টপ বক্সে চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না।

ট্রাই-এর নির্দেশ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে অনেক এলাকায়।যদিও আদালতের নির্দেশ ৩১ মার্চ পর্যন্ত পুরোনো নিয়মই বহাল থাকবে৷ কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকরা। হাতের কাছে কেবল অপারেটরদের পেয়ে তাদের উপরেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন জেলাতেও চ্যানেল দেখতে না পাওয়া নিয়ে কেবল অপারেটরদের সঙ্গে গ্রাহকদের হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে বলে অভিযোগ।

কেবল অপারেটরস সংগঠনের অভিযোগ, ট্রাইয়ের নতুন নিয়মের ফেরে পড়ে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমসও এবং ব্রডকাস্টারদের গোপন আঁতাতের ফলে সাধারণ কেবল অপারেটররা আজ পথে বসার অবস্থায়। আগে সব চ্যানেল দেখতে যেখানে দু'শো টাকা খরচ হত৷ চ্যানেল পিছু মূল্য নির্ধারণের ফলে সেখানে এখন সব চ্যানেল দেখতে টাকার অঙ্ক তিন গুন বেড়ে গিয়েছে৷ অন্যদিকে সাধারণ কেবল অপারেটর ও তার কর্মীদের কর্মের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷ দাবি যতক্ষণ না মানা হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তারা৷