আর্থিক তছরুপের অভিযোগে আজ ফের রবার্ট বঢরাকে জেরা করবে এনফোর্সমেন্ট

বুধবার রাতে। ম্যারাথন জেরার পর রবার্ট বঢরা।

বুধবার পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ম্যারাথন জেরার পর আজ আবার দ্বিতীয় রাউন্ড। লন্ডনে বেনামি সম্পত্তি কেনাবেচার অভিযোগে ফের জেরা করা হবে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর স্বামী রবার্ট বঢরাকে। গত কালের ম্যারাথন জেরার সময়ই তাঁকে দিয়ে একটি মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে বলা ছিল, তদন্তের প্রয়োজনে যখনই ডাকা হবে, তখনই যেন ইডি-র তদন্তকারী অফিসারদের সামনে হাজির হন তিনি।

গত কাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ রবার্ট বঢরাকে নিজে দক্ষিণ দিল্লির ইডি অফিসে পৌঁছে দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরার পর রাত দশটা নাগাদ তাঁকে ছাড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি-র জামনগর অফিসে থেকে তিনি যখন ছাড়া পান, তখন নিজের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িতে অবশ্য একাই ফেরেন রবার্ট।

লন্ডনে বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি এবং ফ্ল্যাট কেনাবেচায় অভিযুক্ত রবার্ট বঢরা। ২০০৫ থেকে ২০১০, এই পাঁচ বছরে হাতবদল করা হয় এই সম্পত্তিগুলি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, যিনি এই সম্পত্তিগুলি কেনাবেচায় সরাসরি জড়িত ছিলেন, সেই মনোজ অরোরাকে চিনতেন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন রবার্ট। রবার্ট এবং মনোজের মধ্যে ই-মেল এবং চিঠি চালাচালির সূত্র ধরেই এই কেনাবেচায় জড়িত রবার্ট, সেই তথ্য সামনে আসছে। এমনটাই দাবি ইডি গোয়েন্দাদের। লন্ডনের এই সম্পত্তিই ২০১০ সালে অনেক কম টাকায় কিনে বেচে দিয়েছিলেন অস্ত্র ব্যবসার দালাল মনোজ ভাণ্ডারি। ইডি-র দাবি, এই সম্পত্তি কেনাবেচার সময় সমস্ত টাকা বেনামে জমা পডে়ছিল রবার্ট বঢরার অ্যাকাউন্টে। যদিও শুরু থেকেই লন্ডনের সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন রবার্ট। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে অহেতুক হেনস্তা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সপ্তাহেই দিল্লি হাইকোর্টে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান রবার্ট। অর্থাৎ, ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু, একই সঙ্গে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল তদন্তের প্রয়োজনে ডাকা হলেই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে ইডি-র সামনে। এর পরই বুধবারের ম্যারাথন জেরা। আর তাঁকে যে হাঁফ ছাড়ার সুযোগ দিতে রাজি নয় ইডি, তা স্পষ্ট আজ ফের জেরা করার সিদ্ধান্তেই।