পুলওয়ামা নিয়ে ভারতের পাশেই ট্রাম্প, পাকিস্তানকে ১.৩ বিলিয়ন ইউএসডি-র সাহায্য বাতিলের ঘোষণা


দিন দুই আগেই হোয়াটইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে পুলওয়ামা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রতিক্রিয়াতেই বুঝিয়েছিলেন যে পাকিস্তানের ভূমিকায় মোটেও খুশি নয় মার্কিন প্রশাসন। যেভাবে সন্ত্রাসবাদের আঁতুরঘরে পাকিস্তান পরিণত হয়েছে তাতে এবার কুঠারাঘাতের যে প্রয়োজন আছে তাও আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরেছে ভারত। মূলত নয়াদিল্লি এই কঠোর অবস্থানের পাশে দাঁড়িয়েই শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসলামাবাদকে চরম বার্তা দিয়েছেন। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছেন, যে পাকিস্তানকে বছরে যে ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছে, তা আপাতত রদ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চায় আমেরিকা। সেখানেই আমেরিকা বেশকিছু বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে খোলাখুলি মতামত চাইছে। এক ভিডিও বার্তায় এটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ট্রাম্প। 

সেইসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, 'এই মুহূর্তে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে খুবই বাজে,বাজে সম্পর্ক। একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আমরা চাই এটা বন্ধ হোক। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা চাই এগুলোও থেমে যাক। আমি খুবই গভীরভাবে এই বিষয়টার উপরে নজর রেখে চলেছি।' 

পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান যে ভাবে তাদের মাটি থেকে চলা সন্ত্রাসের ইন্ধন-কে অস্বীকার করছে তাতে ক্ষুব্ধ দিল্লি। বরাবর সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তান যে কথা বলে আসছে এবারও তার অন্যথা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প এদিন ভিডিও বার্তাতে এটাও বলেছেন যে, 'ভারত প্রচন্ড একটা কঠোর পদক্ষেপ চাইছে। জঙ্গি হামলায় ভারত ৫০ জন মানুষকে হারিয়েছে। আমি সেটা ভালোমতোই বুঝতে পারছি।'

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যে দৃঢ় হয়েছে তাও জানিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু, পুলওয়ামা সন্ত্রাসে জইশ-ই-মহম্মদ নিজে দায় স্বীকার করায় চাপে পড়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান জোর গলায় পুলওয়ামা হামলায় তাঁদের ভুখথণ্ড ব্যবহারের কথা যতই অস্বীকার করুক তাতে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার মন গলছে না। এরমধ্যে নিরাপত্তা পরিষদ নিজে জইশ-এর নাম নেওয়ায় চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের উপরে। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় পাকিস্তানের সদর্থক ভূমিকা ধরে রাখার জন্য হাফিজ সঈদ, সালাউদ্দিন, মাসুদ আজাহারদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? তা সময়ই বলবে।