‌তুষারধসে জম্মু–কাশ্মীরে মৃত সাত, বন্ধ ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক


পুলিস ফাঁড়িতে তুষারধসের ফলে মৃত্যু হল সাতজনের। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন পুলিস অফিসার‌। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জম্মু–কাশ্মীরের কুলগাম জেলার জওহর সুড়ঙ্গে জম্মু–শ্রীনগর সড়কের উপর অবস্থিত পুলিস ফাঁড়িতে। এপর্যন্ত তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ এক পুলিস অফিসার সন্ধআন চলছে। শনিবার বিবৃতি দিয়ে এখবর জানিয়েছে রাজ্য পুলিস।

তবে কনকনে ঠান্ডা এবং অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তুষারধসের সময় ফাঁড়িতে মোট ২০ জন পুলিস অফিসার মোতায়েন ছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। শুক্রবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে মাটি, পাথর এবং তুষারের স্তুপের নিচ থেকে সাতটি দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস এবং সেনার সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

যে পুলিসকর্মীদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে তুষারপাত এবং তুষারধসের ফলে শনিবারও বন্ধ রয়েছে ৩০০ কিলোমিটার লম্বা জম্মু–শ্রীনগর ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক। দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে জম্মু–কাশ্মীরের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী গাড়ি।

রাস্তা খোলার অপেক্ষায় চার দিন ধরে বসে থেকে বিরক্তি সীমা ছাড়িয়েছে গাড়িচালকদের।  রাজ্যে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেলের সরবরাহ থমকে যাওয়ায় রাজ্য সরকার সব কটি পেট্রোল পাম্পকে নির্দেশ দিয়েছে, গাড়ি প্রতি তিন লিটার পেট্রোল এবং ১০ লিটার ডিজেলের বেশি কেউ পাবে না। সক্রিয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে জম্মু–কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশে চলছে ভারী তুষারপাত। অসময়ের এই তুষারপাতের ফলে আপেল, বাঁধাকপি, আলু চাষে বিশাল আর্থিক লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছে দুই রাজ্যেরই প্রশাসন।