শতাব্দী এক্সপ্রেসের বিরিয়ানিতে আরশোলা, বমি করে অসুস্থ যাত্রী


চিকেন বিরিয়ানি আইআরসিটিসির সৌজন্যে হয়ে গেল ককরোচ বিরিয়ানি! চমকে যাওয়ার মতোই ঘটনা। পাতে সেই আরশোলা দেখে কিনা বমি করে ফেললেন যাত্রী! পুরো ঘটনাটি ঘটেছে শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো প্রথম সারির ট্রেনে।

শুক্রবার হাওড়াগামী পুরী-শতাব্দী এক্সপ্রেসে এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। কলকাতার নগেন্দ্রনাথ রোডের পিনাকী সাহাকে বিরিয়ানির প্যাকেট দিয়ে যান আইআরসিটিসি কর্মী। প্যাকেট খুলতেই হুলুস্থুল। পাতে আরশোলা দেখার পরই বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন, "৬০ থেকে ৭০ জন এলআইসির এজেন্ট পুরী থেকে ফিরছিলাম। খড়গপুর থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পর আমাদের চিকেন বিরিয়ানি দেওয়া শুরু হয়। একটু খাওয়ার পরই বিরিয়ানির ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ে রান্না করা আরশোলা।" এই ঘটনার পর যাত্রীদের মধ্যে হইচই শুরু হলেও আইআরসিটিসির তরফে কেউ সেখানে আসতে চাননি বলে অভিযোগ। এরপর ম্যানেজারকে এক প্রকার জোর করে কামরাতে আনলেও এনিয়ে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে টিকিট পরীক্ষক ও আইআরসিটিসির খাতায় অভিযোগ দায়ের করেন যাত্রীরা। হাওড়া আসার পর যাত্রীদের দলটিকে 'ক্ষতিপূরণ' হিসেবে কেক, কলা, কমলা লেবু ও ফ্রুটি দেওয়া হয়। আইআরসিটিসির পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানান, আরশোলাটি জীবিত ছিল। প্যান্ট্রিকার থেকেই তা খাবারের প্যাকেটে চলে আসে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। যাত্রীদের পরে ড্রাই ফুড দেওয়া হয়েছে। যদিও তাতে মন ভরেনি তাঁদের। খাবারের ভাল দাম টিকিটের সঙ্গে নিয়ে এই ব্যবস্থা যথোপযুক্ত নয় বলে তাঁদের অভিযোগ।

ট্রেনে খাবারের মান নিয়ে বারবারই অভিযোগ উঠেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ঠিকা সংস্থাকে জরিমানাও করা হয়েছে। তবুও ট্রেনে খাবারের সমস্যার সমাধান হয়নি। যাত্রীদের অভিযোগ, বহু রকমের আশ্বাস শোনা গেলেও আদপে ঘুম ভাঙেনি রেলের। তাই প্রতিবার কিছু না কিছু সমস্যা হলেই বাহানা জুড়ে দেয় আইআরসিটিসি।