'ছেলেধরা' সন্দেহে রাজ্যে প্রথম গণপিটুনির বলি, খাস কলকাতায় মৃত্যু যুবকের


ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির জেরে এবার মৃত্যু হল যুবকের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতায়।  বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে ছেলেধরা গুজব ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে। ছেলেধরা সন্দেহে একের পর এক জায়গায় গণপিটুনির শিকার হচ্ছেন মহিলা-পুরুষ। কিন্তু প্রাণহানির ঘটনা এর আগে ঘটেনি। রাজ্যে গণপিটুনির প্রথম বলি হল কাঁকুরগাছিতে।

ঘটনা শুক্রবার রাতের। কাঁকুরগাছি প্যান্টালুনসের কাছে এক যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে বেধঢ়ক মারধর করে জনা তিরিশেক লোক। মারের চোটে গুরুতর জখম হন ওই যুবক। রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাতেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ফুলবাগান থানার পুলিস। গণপিটুনিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যে এলাকায় মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকায় কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কাঁকুরগাছি শপিং মলের সিসিটিভি ফুটেজ।

শুধুমাত্র ছেলেধরা সন্দেহেই গণপিটুনি, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও শত্রুতা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে মৃত যুবকের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। গণপিটুনির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ধুন্ধুমার বাঁধে কাঁকুরগাছির গোখানা বস্তিতে। জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।  পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় পৌঁছয় লালবাজার গুন্ডাদমন শাখা।

উল্লেখ্য, কদিন আগে ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনির জেরে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। হাওড়ার জগতবল্লভপুরেও একই ঘটনা ঘটে। প্রায় জনা পাঁচেককে সন্দেহজনকভাবে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে ছেলেধরা সন্দেহে চলে গণপিটুনি। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। সেখানে গাছে বেঁধে চলে গণপ্রহার।