দেশে কর্মসংস্থানের হাল খারাপ নয়, তথ্য দিয়ে সংসদে বোঝালেন মোদী


কয়েকদিন আগে সরকারি একটি রিপোর্ট ফাঁস হয়। তাতে বলা হয়, গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ হারে পৌঁছেছে বেকারত্বের হার। যা নিয়ে সারা দেশে হইচই পড়ে যায়। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কড়া আক্রমণ করে বিরোধীরা। জানান, যেভাবে প্রচার করা হয়েছে পরিস্থিতি ততটা গুরুতর নয়। যথেষ্ট পরিমাণে সারা দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। কীভাবে তার খতিয়ানও পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

কর্মসংস্থান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শুরুতেই নরেন্দ্র মোদী জানান, দেশে অসংগঠিত ক্ষেত্রেই ৮৫-৯০ শতাংশ মানুষ কাজ করেন। সংগঠিত ক্ষেত্রে মাত্র ১০-১৫ শতাংশ মানুষ কাজ করেন।
যদি দেশে কর্মসংস্থান না হয় তাহলে কীভাবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ প্রথমবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কাটিয়েছেন। এবং এর মধ্যে ৬৪ শতাংশের বয়স ২৮ বছরের নিচে। অর্থাত তাঁরা সিংহভাগ প্রথমবার জীবনে চাকরি করছেন।

এনপিএসে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ৬৫ লক্ষ লোক রেজিস্টার করেছিলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবর ১ কোটি ২০ লক্ষ রেজিস্টার করেছেন। নন কর্পোরেট ট্যাক্সপেয়ার ৪ বছরে ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার লোক কর দিয়েছেন। এঁরা সকলেরই কিছু কিছু লোককে চাকরি দিয়েছেন যা তথ্য তৈরির সময় জরিপে ধরা পড়ে না।

দেশের ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ৩৬ লক্ষ কমার্শিয়াল ভেহিকল, দেড় কোটি প্যাসেঞ্জার ভেহিকল ও ২৭ লক্ষ অটো বিক্রি হয়েছে। এগুলো কি সব বাড়িতে বসে রয়েছে। এখানে কোনও কর্মসংস্থান হয়নি? প্রশ্ন করেছেন মোদী।

আরও ব্যাখ্যা দিয়ে মোদী বলেন, এই আমলে হোটেল বেড়েছে ৫০ শতাংশ। দেড় কোটি চাকরি হয়েছে।। মুদ্রা যোজনায় ঋণ পেয়েছে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ। এঁরা সকলেই কিছু কিছু লোককে চাকরি দিয়েছেন। ২ লক্ষ কমন সার্ভিস সেন্টার সারা দেশে তৈরি হয়েছে। সেখানে কয়েকজন করে কয়েক লক্ষ মানুষ কাজ করছেন। ফলে সারা দেশে কর্মসংস্থান হয়নি বলে যে হইচই শুরু হয়েছে তা সংসদে দাঁড়িয়ে ভিত্তিহীন বলেই কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন।