কলকাতা থেকে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ, আসানসোলে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার পুলিশের


কলকাতা থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বিহারে নিয়ে যাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন তিনি। আসানসোলের সালানপুরে চার অপহরণকারীকে ধরে ফেলল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও ইঞ্জেকশনের খালি সিরিঞ্জ পাওয়া গিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। উত্তর কলকাতা মালোপাড়ার অফিস থেকে গাড়ি করে গিরিশ পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন নির্মাণ ব্যবসায়ী মণীশ খাণ্ডেলওয়াল। মাঝ রাস্তায় জোর করে তাঁর গাড়িতে ওঠে পড়ে তিনজন দুষ্কৃতীরা। অন্য গাড়িতে পিছু নেয় আরও কয়েকজন। মানিকতলার কাছে মনীশকে নিজেদের গাড়িতে তুলে নেয় অপহরণকারীরা। এদিকে ততক্ষণে শহরের ব্যবসায়ীকে অপহরণের খবর পৌঁছে গিয়েছে আমহার্স্ট স্ট্রিট ও গিরিশ পার্ক থানায়। নিয়মমাফিক অপহরণকারীদের গাড়ির নম্বর রাজ্যের সমস্ত পুলিশ স্টেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভোরে আসানসোলের সালানপুর থেকে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিশ। ধরা পড়েছে ৫ অপহরণকারীও।

পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতা থেকে ব্যবসায়ী মনীশ খাণ্ডেলওয়ালকে অপহরণ করে বিহারে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। কলকাতা থেকে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যাওয়ার পরিককল্পনা ছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে আসানসোলের সালানপুর থানার দেন্দুয়া মোড়ে নাকা চেকিং চলছিল। একটি গাড়িকে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের। কিন্তু থামাতে বললেও গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে চালক। তাতে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। শেষপর্যন্ত গাড়িটি ধরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। গাড়ি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ব্যবসায়ী মণীশ খাণ্ডেলওয়ালকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে অপহরণের অভিযোগে পাঁচজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে সালানপুর থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ ও ঘুমের ইঞ্চেশনের খালি সিরিঞ্জ পাওয়া গিয়েছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এডিসিপি ওয়েস্ট অনমিত্র দাস জানিয়েছেন, বিহারে লক্ষ্মীসরাইয়ের যাচ্ছিল অপহরণকারীরা। তাই আসানসোল-চিত্তরঞ্জনের রাস্তা ধরেছিল তারা। উদ্ধারের পর ব্যবসায়ী মনীশ খাণ্ডেলওয়ালের প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে পুলিশি নিরাপত্তায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে কলকাতায়।