জাল শংসাপত্রে নিয়োগ, সশ্রম কারাদণ্ড বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের


বিশ্বভারতীতে জাল শংসাপত্র কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ সিনহা, প্রাক্তন কর্মসচিব দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন অধ্যাপিকা মুক্তি দেবকে জেলে পাঠাল আদালত। তিনজনকেই পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর মহকুমা আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন বিচারক।

১৯৯৫ থেকে ২০০১ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন দিলীপ সিনহা। তখন কর্মসচিব ছিলেন দিলীপ মুখোপাধ্যায়। ১৯৯৬ সালে তফশিলি জাতি ও উপজাতি কোটায় বিশ্বভারতীতে অংকের অধ্যাপিকা নিয়োগ করা হয় মুক্তি দেবকে। জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে ওই অংকের অধ্যাপিকা  গবেষণার জন্য আবেদন করেন। তখন দেখা যায়, মুক্তিদেবীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র জাল। যাচাই না করেই সেই শংসাপত্রগুলি অনুমোদন করেছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ সিনহা। সাধারণ নিয়মে অধ্যাপক বা অধ্যাপিকা নিয়োগের সময়ে শংসাপত্র যাচাই করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বা কর্মসচিব। তাই, এই ঘটনার নাম জড়ায় বিশ্ববিভারতীর প্রাক্তন কর্মসচিব দিলীপ মুখোপাধ্যায়েরও। ২০০৪ সালে দু'জনের বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হিভূতভাবে নিয়োগ ও জালিয়াতির অভিযোগে এফআইআর করেন বিশ্বভারতীর তৎকালীন কর্মসচিব সুনীল সরকার। তখন উপাচার্য ছিলেন সুজিত বসু। তদন্তে নামে সিআইডি।

পনেরো বছর ধরে মামলা চলে বোলপুর মহকুমা আদালতে। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার জাল শংসাপত্র মামলায় বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ সিংকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন কর্মসচিব দিলীপ মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন অংকের অধ্যাপিকা মুক্তি দেবও। তিনজনকেই পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও হাজার টাকা করে জরিমানা নির্দেশ দিয়েছেন বোলপুর মহকুমা আদালতের বিচারক। ইদানিং বারবারই বিতর্কে জড়িয়েছে কবিগুরুর সাধের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু  জাল শংসাপত্র কাণ্ডে খোদ প্রাক্তন উপাচার্যকে জেলে যেতে হচ্ছে, এমন ঘটনা নজিরবিহীন।