বিধায়ক খুনে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর স্থানীয়দের, মিলল ধারালো অস্ত্র


কৃষ্ণগঞ্জের ফুলবাড়ি এলাকা থেকে কিছুটা দূরে এক বাড়িতে হামলা। চড়াও হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চলল ভাঙচুর। বাড়ি থেকে সিমকার্ড, মোবাইল ও একটি ধারালো অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।যে বাড়িতে এমন হামলা চলল, সেই বাড়িটি কৃষ্ণগঞ্জের  বিধায়ক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত সুজিত মণ্ডলের। উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার হাঁসখালিতে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে, সেই অভিজিৎ পুণ্ডারি এখনও ফেরার। এমনকী,  নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছে সে। সোমবার নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাঁসখালি গিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি আরএসএসের সক্রিয় সদস্য।

২০১৬ সালে উপনির্বাচনে জিতে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক হয়েছিলেন জেলায় শাসকদলের যুবনেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস। এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। প্রভাবও ছিল যথেষ্ট। শনিবার মাজদিয়া ফুলবাড়ি এলাকায় নিজের পাড়ায় তৃণমূল বিধায়ককে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সুজিত মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডল নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে মাজদিয়ায় যেখানে সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন করা হয়েছিল, তার কাছেই সুজিত মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। রীতিমতো ভাঙচুর চলে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুজিতে বাড়িতে সিমকার্ড, মোবাইল ও একটি ধারালো অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ছবিও। ঘটনা জানাজানি হতেই তেতে ওঠে এলাকা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গিয়েছে, মাজদিয়া এলাকায় বৃদ্ধার মায়ের সঙ্গে থাকত বিধায়ক খুনে অভিযুক্ত সুজিত মণ্ডল। ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন বাড়িতে একাই থাকছেন ওই বৃদ্ধা।তারমধ্যেই এলাকাবাসীর রোষ তাঁর বাড়ির উপর এভাবে পড়ায় স্বভাবতই তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন সুজিতের বৃদ্ধা মা।