বাঁকুড়ার গর্ব এখন গবেষক চয়ন


বাঁকুড়া: ঘরের ছেলের সৌজন্যে আরও একবার সারা বিশ্বে উজ্জ্বল হল বাঁকুড়ার নাম। বাঁকুড়া শহরের সিনেমা রোডের বাসিন্দা চয়ন দত্ত সুদূর আমেরিকার রাইস ইউনিভার্সিটিতে তাঁর 'পোষ্ট ডক্টরাল' গবেষণায় তৈরি করলেন নতুন একটি 'মাইক্রোস্কোপ'৷ এই নবনির্মিত মাইক্রোস্কোপ বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে প্রথাগত মাইক্রোস্কোপের চেয়ে ২০ গুণ দ্রুততার সঙ্গে কাজ করবে৷

'আণবিক প্রসেস' গুলির বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি 'ডাইমেনশান মাইক্রোস্কোপ ফোর ডাইমেনশানের তথ্য সংগ্রহ' করতে পারবে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে জীবন্ত ক্যান্সারের কোষ সংক্রান্ত বিশ্লেষণে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা নেবে। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে যথেষ্ট আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। ছেলে চয়ন দত্তের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া শহরের সিনেমা রোডের দত্ত বাড়িতে। খুশির জোয়ারে ভাসছেন বাবা নিতাই দত্ত, মা মঞ্জুর দত্তর সঙ্গে আপামর জেলাবাসী।

চয়নের পরিবার সূত্রে খবর, ছোটো থেকেই কৃতি ছাত্র হিসেবে পরিচিত সে। ২০০৪ সালে বাঁকুড়া জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছিল। তারপর উচ্চ মাধ্যমিকও ওই স্কুলেই। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞানে স্নাতক। এরপর আর থামা নেই। কানপুর আইআইটিতে পড়াশোনা শেষ করে সোজা আমেরিকায় পাড়ি দেন তিনি। সেখানেই তাঁর এই সাফল্য।

ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা নিতাই দত্ত, মা মঞ্জু দত্ত জানান, ছেলে ছোট থেকেই পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো। ছেলের আরও উন্নতি কামনা করে বলেন, 'ছেলে এখন আর শুধু আমাদের একার নয়, ও তো এখন আমাদের দেশের সম্পত্তি৷'

চয়ন দত্তের এই সাফল্যে খুশি গোটা জেলার মানুষ। তাঁর এই সাফল্যের খবর এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও রীতিমতো ভাইরাল। জেলার এই কৃতি সন্তান দেশের বাইরে থাকায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।