সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আতঙ্ক! পাকিস্তানে হাসপাতালগুলিকে বিশেষ নির্দেশ ইমরান-সরকারের


কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের হাতেসেনা জওয়ানদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। ঘটনার ১০০ ঘণ্টার মাথায় নিকেশ করা হয়েছে হামলার মাস্টারমাইন্ডকে। কাশ্মীর জুড়ে অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছে সেনা। এদিকে, রাজধানী দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠকে ব্যস্ত জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। অন্যদিকে, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন ভারত হামলা করলে পাল্টা হামলায় নামবে পাকিস্তানও। পাশাপাশি , আলোচনা বন্ধের রাস্তা বন্ধ বলে মোদীর ঘোষণার পরই ইমরান জানান সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তান বৈঠকে বসতে রাজি। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানি হাসপাতাল গুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে ইমরান সরকার।


পাকিস্তানে নির্দেশ
পাকিস্তানের হাসপাতালগুলিকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকে। পাকিস্তানের বালোচিস্তান এলাকার হাসপাতাল ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হাসপাতালগুলিকে যাবতীয় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যা থেকে এটা অন্তত স্পষ্ট যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছে না!
   

কোয়েত্তা ক্যানটনমেন্টে নির্দেশ
পাকিস্তানের কোয়েত্তা ক্যান্টনমেন্টের জিলানি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের আশঙ্কায় বিশেষ মেডিক্যাল সাপোর্ট টিম তৈরি করা হয়েছে। কোনও ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে ওই হাসপাতাল থেকে সমস্ত রকমের সমর্থন দেওয়া যায়, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইমরান প্রশাসনের তরফে।

   

সতর্কতা
জানা গিয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে র প্রশাসনের তরফে নিলম, ঝলাম, রাওয়ালকোট, কোটলি ইত্যাদি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি সতর্কবার্তা জারি করেছে। ভারতের তরফে পাল্টা হামলার আশঙ্কায় এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে সীমান্তের কাছাকাছি যেন পশুপ্রাণীদের নিয়ে চারণে না যান বাসিন্দারা।
   

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জঙ্গি সরানো হচ্ছে
যুদ্ধের আশঙ্কায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ক্রমেই জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে , যুদ্ধের আশঙ্কা,তথা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের স্মৃতির ক্ষত এখনও দগদগে পাকিস্তানের বুকে। কারণ ওই হামলাতেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গিদের খতম করে দিয়ে আসে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। যে অপরেশন দেশের ইতিহাসে অন্যতম সফল অপরেশন ছিল।