পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা, মিলল মূলচক্রী রশিদ গাজির হদিশ!


পুলওয়ামা হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি হিসেবে আদিল আহমদ দারের নাম উঠে এলেও মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আফগান নাগরিক রশিদ গাজির নামটাই শোনা গিয়েছিল। এবার তার হদিশ পেলেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে সংবাদমাধ্যমের খবর পুলওয়ামা বা ত্রালের কোনও জঙ্গলঘেরা এলাকা থেকে সে তার কাজকর্ম চালায়।

বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণের পরই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল আহমদ দার হামলার গোটা ঘটনার কথা জানায়। পাশাপাশি সেদিনই উঠে এসেছিল রশিদ গাজির নাম। আফগান যুদ্ধের সেনানি রশিদ একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। তাকেই এই হামলার মূল চক্রী বলে মনে করা হচ্ছে।

শুত্রবারই ঘটনাস্থলে গিয়েছে এনআইএ ও এনএসজির বিশেষজ্ঞ দল। একইসঙ্গে তদন্তে নেমেছে অন্যান্য তদন্তকারী দলও। ওই হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তান থেকে মাসুদ আজহারের নির্দেশ এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার দুদিন পর এবার রশিদ গাজিকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় হামলার একমাস আগেই গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল জইশ-ই-মহম্মদ কাশ্মীরে বড়সড় হামলার ছক কষছে। তার পরেও পুলওয়ামায় এতবড় হামলা কীভাবে হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। উপত্যকায় জইশের তত্পরতা অনেকটাই কম করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেও জইশ ঘোষণা করেছিল ফেব্রুয়ারি মাসে তারা কাশ্মীরে বড় কিছু করবে তারা। কাশ্মীর উপত্যকায় বর্তমানে ৭০ জন জইশ জঙ্গি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদের মধ্যে আদিল দার সি ক্যাটিগরির জঙ্গি।

এদিকে, পুলওয়ামা বিস্ফেরণে বিস্ফোরক হিসেবে রাসায়নিক সার তৈরির সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। গোটা হামলার একটি দায়িত্বে ছিল পাক নাগরিক কামরান। সে পুলওয়ামা, ত্রাল, অবন্তীরপোরা সহ দক্ষিণ কাশ্মীরে বিভিন্ন জায়গা থেকে তার কাজকর্ম চালায় বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এখনও পর্যন্ত ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।