লাউডস্পিকার বন্ধের নামে মন্দিরে পুলিসের ভাঙচুরের অভিযোগ, বিক্ষোভে রণক্ষেত্র গ্রাম


মাইক বাজানো বন্ধকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নিউটাউনের পাথরঘাটা গ্রাম। গ্রামবাসী-পুলিস খণ্ডযুদ্ধে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পাথরঘাটা গ্রাম। এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ, লাউডস্পিকার বন্ধের নামে মন্দিরে ভাঙচুর চালায় পুলিস। আর তারপরই পুলিসের ওপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।

অভিযোগ, ভরা পরীক্ষার মরসুমে গভীর রাতেও মাইক বাজানো হচ্ছিল মন্দিরে। তাতে আপত্তি জানায় পুলিস। মাইক বন্ধ করে দিতে বলে পুলিস। এরপরই এককথা-দুকথায় বচসা শুরু হয়ে যায়। বচসা গড়ায় বিক্ষোভে। অভিযোগ, এরপরই মাইক বন্ধের নামে মন্দিরে ভাঙচুর চালায় পুলিস। আর এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী। রাস্তায় টায়ার জালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। যত সময় গড়ায় তত উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

গ্রামে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেয় উত্তেজিত জনতা। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় গ্রামে ঢোকার পথ। অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পঞ্চায়েত প্রধান এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে দেখে তখনকার মত এলাকা  ছেড়ে চলে যায় পুলিস।

তারপর এদিন সকালে আবার নতুন করে উত্তেজনা ছাড়ায় পাথরঘাটা গ্রামে। বন্ধ সমস্ত দোকানপাট। কোনও গাড়িও চলছে না এলাকায়। এদিন সকালে আবার গ্রামে ঢোকে পুলিস। আর গ্রামে ফের পুলিস ঢোকার খবর পেয়েই মারমুখী হয়ে ওঠে বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়ি। উত্তেজিত জনতা বেধড়ক মারধর করে পুলিসকে।

উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালাতেও দেখা যায় পুলিসকে। সবমিলিয়ে তুমুল উত্তেজনা গ্রামে। এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছেন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।