ভারত ছাড়তে হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপকে


সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বেশ কিছু নতুন আইন নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। আর সে সব বলবৎ হলে হোয়াটসঅ্যাপের এ দেশে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে বলেই বুধবার জানালেন হোয়াটসঅ্যাপের এক উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক।

হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম বড় বাজার ভারত। এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে অন্তত ১৫০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তার মধ্যে ২০ কোটি ব্যবহারকারীই ভারতের।

হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার কর্তা কার্ল উগ বুধবার নয়াদিল্লিতে জানান, প্রস্তাবিত ওই বিধিনিষেধে সব চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে, বার্তার উৎস জানার উপরে। এ দিকে, হোয়াটসঅ্যাপ  'এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন'-কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। যার অর্থ প্রেরক ও গ্রাহক ছাড়া কোনও তৃতীয় ব্যক্তি সেই বার্তাটি দেখতে পারেন না। গোটা পৃথিবী ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষাকে আরও জোরাল করতে চাইছে।  ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণে থাকা হোয়াটসঅ্যাপও সেই  দিশা মেনেই চলছে।

হোয়াটসঅ্যাপকে যদি নতুন আইন মেনে ভারতে ব্যবসা করতে হয়, তবে সম্পূর্ণ ভোলবদল করতে হবে। আর তা কার্যত কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ফলে নয়া আইন বলবৎ হলে ভারতীয় বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে হতে পারে বলেই আশঙ্কা হোয়াটসঅ্যাপ কর্তাদের। 

আইন বলবৎ করার কথাও ভাবা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে প্রাদেশিক ভাষায় ভুয়ো প্রচার রুখতে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েই কড়া হয়েছে সরকার। ফেসবুকেও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার ক্ষেত্রে প্রথমেই বিধিসম্মত সতর্কীকরণ দিয়ে বিষয় ও বিজ্ঞাপনদাতা সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।