স্বাস্থ্য কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান


পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার নিতে চলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার ব্যানার্জি। এই পদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৌমিত্র পালের। সে বিষয়ে ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে এ খবর জানা গেছে। অসীমকুমার ব্যানার্জি ‌রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের‌ও চেয়ারম্যান। সল্টলেকে তন্তুজ ভবনের ৭ তলায় রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের‌ অফিস। 
পাশাপাশি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের দপ্তরের স্থান বদলও হতে চলেছে। বিবাদি বাগে ৩২, স্ট্যান্ডার্ড ইনশিওরেন্স ভবনে বর্তমানে অফিস চালু রয়েছে। সূত্রের খবর, সেখান থেকে অফিস দ্রুত স্থানান্তরিত হওয়ার কথা সল্টলেকে শুভান্ন ভবনের ৯ ‌তলায়। সেখানে স্বাস্থ্য কমিশনের অফিস তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে বিবাদি বাগের অফিস থেকে অন্যান্য অফিসারেরা চলে আসবেন সল্টলেকে। কমিশনে শুনানি গ্রহণ পর্ব আপাতত স্থগিত রয়েছে। কারণ, চেয়ারম্যানের আসনে এই মূহূর্তে কেউ নেই। তবে অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমিশনের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, '‌রোগী ও তাঁদের পরিজনদের অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ মাসেই খুব তাড়াতাড়ি নতুন চেয়ারম্যান কমিশনের দায়িত্বভার নেবেন। তারপরই স্থগিত মামলার শুনানি শুরু হবে।'‌ সূত্রের খবর, ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় স্বাস্থ্য কমিশনের শুনানি শুরু হওয়ার কথা। ওইদিনের শুনানি গ্রহণ সম্ভবত তন্তুজ ভবনে হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি কমিশনের সকল সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করার কথা নতুন চেয়ারম্যানের। তবে সেই বৈঠক তন্তুজ ভবনে হবে না কি বিবাদি বাগের অফিসে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি।

২০১৭ সালের ১৭ মার্চ স্বাস্থ্য কমিশন গঠন হয়। বিবাদি বাগের অফিসে শুরু হয় অভিযোগ গ্রহণ, শুনানি প্রক্রিয়া। ৩১ আগস্ট চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার রায়। পরে তাঁকে লোকায়ুক্তর দায়িত্বে নিযুক্ত করে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজভবনে শপথ গ্রহণও করেছেন। কমিশন গঠনের পর মোট ৩২০টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তার মধ্যে ১৬৯টি অভিযোগের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এগুলির মধ্যে ৩৪টি ক্ষতিপূরণের রায় বেরিয়েছে।‌‌