হদিশ মিলল পুলওয়ামা হামলার মূল ষড়যন্ত্রী রশিদ গাজীর


ছবির সত্যতা যাচাই করা হয়নি৷ ইণ্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত

জম্মু: নৃশংস হামলার দিন তিনেক পরে কী সাফল্য এল অবশেষে? জি নিউজ সূত্রে খবর পুলওয়ামা হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী আব্দুল রশিদ গাজীর হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ কোথায় কোথায় সক্রিয় ছিল রশিদ, তা জানতে পেরেছেন তাঁরা৷

রিপোর্ট বলছে, পুলওয়ামা বা ত্রালের জঙ্গল এলাকায় লুকিয়ে থেকে গোটা অপারেশনে মদত দিয়েছিল সে৷ সেখানকার গোপন আস্তানা থেকেই ছক সাজানো হয়েছিল৷ রশিদ গাজীর এই আস্তানাতেই পাকিস্তানে অবাধে ঘুরে বেড়ানো জইশ ই মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার নির্দেশ পাঠাত৷ কীভাবে হামলা চালানো হবে তার পরিকল্পনা করা হয়েছিল আজহারের নির্দেশে৷

ইতিমধ্যেই আব্দুল রশিদ গাজীকে জীবিত গ্রেফতার করতে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ জানা গিয়েছে পুলওয়ামা হামলার মাসখানেক আগেই ইনটেলিজেন্স ব্যুরো থেকে এই হামলা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছিল৷ বলা হয়েছিল জইশ কোনও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে৷
 
তবে সেই রিপোর্টকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ ফলে গোটা বিষয়ে যে গাফিলতি রয়েছে, তা স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ৷ আইবি ও সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবেই এই হামলা বলে অভিযোগ উঠছে৷ গোয়েন্দাদের তদন্তে জানা গিয়েছিল আফগান যুদ্ধের অন্যতম মাথা আব্দুল রশিদ গাজীর হাত আছে এই হামলায়।

মনে করা হচ্ছে গত ডিসেম্বর থেকেই ছক শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই আব্দুল রশিদ গাজী একজন আইইডি স্পেশালিস্ট বলেও জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য গত ৩ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় জয়েশ-ই-মহম্মদ সদস্য তলহা এবং উসমান।

এই দুই জইশ-ই স্নাইপার কামান্ডো ছিল মাসুদ আজাহারের ভাইপো। এই ঘটনার পরই জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রতিশোধ নিতে তার গাজী বাহিনীকে পাঠায়। সূত্রের খবর, ৯ ডিসেম্বর উপত্যকায় প্রবেশ করে সন্ত্রাসবাদীরা। ডিসেম্বরের শেষে তারা পুলওয়ামায় পৌঁছয় সম্ভবত যাত্রীবাহী গাড়িতে।

সূত্রের খবর, এই হামলার পিছনে বেশ কিছু কারণ আছে। প্রথমত আগামী ৯ ফেব্র‌ুয়ারি ছিল সংসদ হামলার মূলচক্রী আফজল গুরুর মৃত্যুবার্ষিকী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, একটি পতাকায় লেখা মন্তব্যে দেখা যায় 'বড়া হোনা চাহিয়ে, হিন্দুস্থান রোনা চাহিয়ে'। স্থানীয়দের মতে এই লেখাটি ছিল জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের লেখা। যার থেকে স্পষ্ট হামলার অনেক আগেই উপত্যকায় প্রবেশ করেছিল সন্ত্রাসবাদী গাজীর দলবল।