উচ্চশিক্ষার বিশ্বায়নের ফলে বাড়বে শিক্ষার মান ও কর্মসংস্থান


ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স–এর উদ্যোগে '‌গ্লোবালাইসড এডুকেশন ফোরাম'‌ (‌জিইএফ)‌–এর সামিটে বিশ্বায়নে উচ্চশিক্ষার অনুশীলনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকীকরণের সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষা এবং ভবিষ্যতের মানবসম্পদ তৈরিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা উঠে এল। শনিবার জিইএফ–২০১৯ সামিট হয়ে গেল বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলে। সামিটের প্রধান বক্তা ভারত সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়নের অধীন প্রাক্তন শিক্ষা সচিব অনিল স্বরূপ। তিনি মনে করেন, দেশের প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষায় উন্নয়ন ঘটলে দেশের সমৃদ্ধি ঘটবে। এবং একইসঙ্গে বাড়বে কর্মসংস্থান। প্রাক্তন শিক্ষা সচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী, জেআইএস গ্রুপের এমডি তারানজিৎ সিং, জোতির্ময় এডুকেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড.‌ পার্থসারথি গাঙ্গুলি, অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সামিটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, আইসিসি কার্যকরী কমিটির সদস্য কল্যাণ কর।

বাংলা তথা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি, ম্যানেজমেন্ট, বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণামূলক উচ্চশিক্ষার কদর বাড়ছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে সারা দেশেজুড়ে শিক্ষার প্রসারের জন্য চাই 
ইতিবাচক মনোভাব। সেই কথা মনে করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন শিক্ষা সচিব। আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী বলেন,'‌আন্তর্জাতিক স্তরে যেভাবে উন্নতি ঘটছে উচ্চশিক্ষায়, আমাদেরও একই ভাবে উন্নয়ন ঘটাতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে।'‌ তিনি আরও জানান,'‌আগামী ২০২২–এর মধ্যে ভারতের তরুণদের মধ্যেই তৈরি হবে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি কর্মঠ কর্মী।'‌ অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন,'‌আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত অভিভাবক ও ছাত্র–ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষার একটি নির্দিষ্ট পথ দেখানো।'‌ উচ্চশিক্ষার বিশ্বায়নে পড়াশোনার বিস্তৃতি ঘটেছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে শিক্ষার আদান–প্রদানে ছাত্র–ছাত্রীদের শিক্ষার মান বাড়ার পাশাপাশি আরও বেশি কর্মসংস্থানও ঘটবে বলে মনে করেন জিইএফ–১৯ সামিটে উপস্থিত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা।