গুলি করার পর বন্দুক এলাকাতেই ছেড়ে পালায় 'খুনি', কিন্তু কেন? বিধায়ক খুনে অদ্ভূত তথ্য সামনে


তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনে 'ক্লু' খুঁজছে পুলিস।  তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ঘটনাস্থল থেকে  ২০০ মিটারের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে বন্দুক। এখানেই উঠছে প্রশ্ন।  অপরাধী কেন ঘটনাস্থলের কাছেই বন্দুক ফেল চম্পট দিল! সেক্ষেত্রে তো খুব সহজেই বন্দুকে আঙুলের ছাপ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পারে পুলিস।

পুলিশের অনুমান, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ছিল না।  অপরাধী পাকাপোক্ত না হতে পার,  হতে পারে কাঁচা হাতের কাজ।  কিন্তু  অপরাধী পালাল কোথায়? ঘটনাস্থল থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যেই সীমান্ত।  গা ঢাকা দিতে সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়ার  সম্ভবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।

যে মাঠে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল, তার লাগোয়া রাস্তাটিই সীমান্ত যাওয়ার একপ্রকার 'বাইপাস'।  সেক্ষেত্রে ওই রাস্তা দিয়েই অভিযুক্ত পালিয়েছে বলে মনে করছে পুলিস। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, মাস তিন-চার আগেই অস্ত্র পাচার করার সময়ে সীমান্ত একটি

ঘটনাস্থল লাগোয়া রাস্তাটি একপ্রকার বাইপাস। সামান্ত হয়ে জেলায় প্রবেশ করার একটা ভাল পথ। পুলিশ সূত্রের খবর, মান তিন-চার আগেই অস্ত্র পাচার করতে সীমান্ত এলাকা থেকে একটি গাড়ি আটক করা হয়েছিল। এদিনের ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

এদিকে, বিধায়ক খুনে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। ফুলবাড়ির ফুটবল ময়দানে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছিল 'আমরা সবাই' ক্লাব। সেখানে বিধায়ক নিজে উপস্থিত ছিলেন 'পাড়ার দাদা' হিসাবে। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রত্না কর ঘোষও। মন্ত্রী যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত, সেখানে কীভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত হালকা ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

জানা গিয়েছে, সত্যজিতের দেহরক্ষী তাঁর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সেদিন ছুটি নিয়েছিলেন। তাঁর কোনও এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন দেহরক্ষী। এক্ষেত্রে বিধায়কের দেহরক্ষী ছুটি নিলে, তা আগে থেকেই থানায় জানাতে হয়। কিন্তু তিনি তেমনটা করেননি। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

হাঁসথালি থানার ওসি অনিন্দ্য বোসের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাসের দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডলের বিরুদ্ধেও।