মিলল হ্যান্ড গ্রেনেডের টুকরো! ভাদোহির কার্পেট কারখানায় বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ


উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির কার্পেট কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কার্পেট কারখানায় এই জোরালো বিস্ফোরণ ভাবাচ্ছে তদন্তকারী টিমকে। কী কারণে বিস্ফোরণ? এর পিছনে কি কোনও বড়সড় চক্র রয়েছে? কোনও নাশকতার ছক রয়েছে? তদন্তে নেমে কোনও সম্ভাবনা-ই উড়িয়ে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

বিস্ফোরণের তীব্রতায় ওই এলাকায় ভেঙে পড়েছে তিন-তিনটি বাড়ি। দুটি বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে মেলা হ্যান্ড গ্রেনেডের খোলের টুকরো। এর জেরেই সন্দেহ বেড়েছে গোয়েন্দাদের।  অভিযোগ উঠেছে, কার্পেট কারখানায় প্রায় এক কুইন্টালের বেশি বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, জনবহুল স্থানে একটি কার্পেট কারখানায় কেন বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল? আবার, ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পুলিস স্টেশন। তারপরেও কেন কেউ কিছু টের পেল না ? উঠছে সেই প্রশ্ন-ও।

অন্যদিকে, ভাদোহির স্থানীয় বাসিন্দা, বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে কেউ কেউ দাবি করেছেন, বিস্ফোরণের কিছু আগেই একটি বাইক আসে ঘটনাস্থলে। বাইক আরোহী কারখানার সামনে বাইকটি রেখে পালিয়ে যায়। আর তারপরই হঠাত্ বাইক থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। সব মিলিয়ে ভাদোহির কার্পেট কারখানায় বিস্ফোরণের কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা ঘনীভূত। কার্পেট কারখানার আড়ালে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হত বলে গতকাল থেকেই অভিযোগ উঠেছিল। যদিও বাজি কারখানা থাকার কথা অস্বীকার করেছেন মালদার এনায়েতপুরের যুবকরা।

শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কার্পেট কারখানাটি। এরপরই জানা যায়, ভাদোহির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন শ্রমিক। যার মধ্যে ৯ জন-ই বাঙালি। মালদার এনায়েতপুররে বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এনায়েতপুর গ্রাম থেকে বহু যুবক ফি বছর কার্পেট বোনার কাজে ভাদোহি এলাকায় গিয়ে থাকে। কার্পেট শ্রমিক সেই যুবকরা অবশ্য বাজি-বিস্ফোরকের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁদের সাফ দাবি, কার্পেট কারখানার আড়ালে কোনও রকম বাজি কারখানা ছিল না।