সিওল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি


পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট মুনের শোকপ্রকাশ ও সাহায্যের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আজ দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে এই মন্তব্যই করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ কোরিয়ান সৈনিকদের জাতীয় কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানানোর পর একথা বলেন তিনি। এদিকে আজই দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল পিস প্রাইজ কালচারাল ফাউন্ডেশন তরফে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সিওল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসেই তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।

আজ এই পুরস্কার নেওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি বলেন, "সিওল শান্তি পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিত। এই পুরস্কার আমার একার নয়, ভারতের জনগণের। এই পুরস্কার বসুধৈব কুটুম্বকম বার্তার কথা বলে। যার অর্থ সমস্ত বিশ্বই আমার ঘর। আমি চাই সমস্ত বিশ্বেই শান্তি বিরাজ করুক। পুরস্কারের টাকা নমামি গঙ্গে প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হবে। ১ কোটি ৩০ লাখ দেওয়া হবে গঙ্গা স্বচ্ছ্বতা অভিযানে। গত পাঁচ বছরে ভারতের ১ কোটি ৩০ লাখ দক্ষ নাগরিক যে সাফল্য অর্জন করেছে তার এটা তারই পুরস্কার। মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ বছরের জন্মবার্ষিকীতে এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি আমাকে আরও গর্বিত করেছে।"

দুদিনের দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গতকাল সিওল পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় এটা তাঁর দ্বিতীয় সফর। সিওলে পৌঁছানোর পর গতকালই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়ে যৌথ গবেষণা চালানোর বিষয়ে কথা হয়। এরপর আজ দুদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তিও সাক্ষরিত হয়।

ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক অবদান আছে উল্লেখও করেন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, আমাদের ব্যবসা ও মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার সংবাদমাধ্যম ও পুলিশ সংক্রান্ত বিষয়ের পাশপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাতটি ডকুমেন্ট সাক্ষরিত হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই এই প্রয়াস।

গত অযোধ্যায় আয়োজিত দীপউৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি কিম। এই ঘটনার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক প্রায় একহাজার বছরের। নতুন প্রজন্মের কাছে সেই কথা তুলে ধরে তা আরও বাড়ানোর প্রয়াস চলছে।