স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর


লখনউ: জোড়া হত্যাকাণ্ডের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে আগ্রায়৷ দিনে দুপুরে এক মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়৷ তারপরে খুনি রক্ত মাখা হাত আর জামা কাপড় নিয়ে থানায় পৌঁছয়৷ থানায় গিয়ে পুলিশকে সে জানায় স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিকের হত্যা করেছে সে৷ মৃতদেহগুলি ঘরেই পরে রয়েছে বলেও সে জানায় পুলিশকে৷৷

পুলিশ কর্তারা জানান, ওই ব্যক্তিকে জেরা করার পর তারা ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের রক্ত মাখা দেহ উদ্ধার করেন৷ অভিযুক্ত জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে নিজের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে বন্ধ ঘরে দেখে নিজের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে৷ তারপর ২৮ বছর বয়সী লক্ষ্মী এবং তাঁর প্রেমিক দীপককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সে৷ এই ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে৷

তদন্তকারী অফিসাররা জানান, ঘরের মেজে রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল৷ খাটের উপর লক্ষ্মী এবং তাঁর প্রেমিক দীপকের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পরে ছিল৷ দুজনের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে ঋষি৷ খাটের পাশেই খুন করার পর সেই অস্ত্রটি রেখে দেয় অভিযুক্ত৷ পুলিশ অভিযুক্ত ঋষিকে গ্রেফতার করে৷
 
ঋষিকে দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ জানতে পারে সে দিল্লিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করত৷ সোমবার বাড়ি আসে৷ মঙ্গলবার সে তার স্ত্রীকে জানিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রওনা দেয়৷ তবে বাড়িতে ফোন ভুলে আসার জন্য মাঝপথ থেকেই ফিরে আসে সে৷ বাড়িতে এসে স্ত্রীকে ডাকার পর কোনও উত্তর না মেলায় তাঁর সন্দেহ হয়৷ ঘরে ঢুকে স্ত্রী আর দীপককে এক সঙ্গে দেখে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বাড়িতে রাখা কোদাল দিয়ে এলোপাথারি দুজনের মাথায় আঘাত করে৷ তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য জড়িয়ে রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷